আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ প্রথম দুই ম্যাচ থেকে এসেছিল ১২ পয়েন্ট। কিন্তু ত্রিপুরার বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়ে এসেছে মাত্র এক পয়েন্ট। তবে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে কিন্তু ৭ পয়েন্টের স্বপ্ন দেখছে বাংলা।


রনজি ট্রফিতে শাহবাজ–মহম্মদ কাইফ–রাহুল প্রসাদের বোলিংয়ের সামনে ধরাশায়ী রেলওয়েজ। ফলোঅন করে ফের ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছে তারা। পিছিয়ে আছে ১৬২ রানে। হাতে এখনও একটা দিন। ফলে শুধু জেতা নয়, ইনিংসে জেতা বা ১০ উইকেটে জেতার সুযোগও থাকছে। যাতে ৭ পয়েন্ট আসতে পারে।


এটা ঘটনা, বাংলার ৪৭৪ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে রেলওয়েজের রান ছিল ৫ উইকেটে ৯৭। কিন্তু গুজরাটের লালভাই কনট্রাক্টর স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে রুখে দাঁড়ান ভার্গব মেরাই ও উপেন্দ্র যাদব। দু’‌জনের জুটিতে ২০০ রান পেরিয়ে যায় রেলওয়েজ। ফলে পুরো পয়েন্ট আদৌ পাবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিনের বাংলার বোলিংয়ের নায়ক সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল এদিন আর উইকেট পাননি। কিন্তু মহম্মদ কাইফের বলে উপেন্দ্র (৭০) ফিরতেই ফের আশার সঞ্চার হয়। ২০৩ রানে ৫ উইকেট থেকে ২২২ রানে অলআউট হয়ে যায় রেলওয়েজ। ভার্গবকে (৯১) ফেরান রাহুল প্রসাদ। তিনি ও মহম্মদ কাইফ ২টি করে উইকেট পান। ২৫২ রানে পিছিয়ে থাকা রেলওয়েজকে ফলোঅন করায় বাংলা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেনি রেলওয়েজ। শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তবে ভার্গব (২০) ও উপেন্দ্র (১২) দু’‌জনেই এখন ব্যাট করছেন। সেটাই যা চিন্তার বাংলার জন্য। তৃতীয় দিনের শেষে রেলওয়েজের রান ৫ উইকেট হারিয়ে ৯০। অর্থাৎ তারা যদি ১৬২ রান না করতে পারে, তাহলে ইনিংসে জিতে ৭ পয়েন্ট ঘরে তুলবেন সুদীপ কুমার ঘরামিরা। কিংবা তারা যদি অল্প রানের লক্ষ্যও দেয়, সেটা ১০ উইকেট হাতে নিয়ে তুলতে পারলেই ৭ পয়েন্ট পাবে বাংলা। যদিও চতুর্থ দিনে দ্বিতীয়টির সম্ভাবনা খুবই কম।


প্রসঙ্গত, বাংলা প্রথমে ব্যাট করে ৪৭৪ রান করে। শূন্য রানে ফেরেন অধিনায়ক সুদীপ। অভিষেক হওয়া আদিত্য পুরোহিত করেন ৬ রান। ৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাকে টেনে তোলেন অনুষ্টুপ ও শাহবাজ। তাঁদের জুটিতে ওঠে ১৩৪ রান। ১০৬ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শাহবাজ। দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেন সুমন্ত গুপ্ত। তিনি ১২০ রান করেন। অন্যদিকে অনুষ্টুপ আউট হন ১৩৫ রানে। শেষের দিকে বিশাল ভাটির ৩৬ ও রাহুল প্রসাদের ৪০ রানের সুবাদে রানের পাহাড় খাঁড়া করে বাংলা।