আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইপিএলে নিষিদ্ধ হয়েছেন ইংরেজ ব্যাটার হ্যারি ব্রুক। দু’বছরের জন্য। ২০২৮ সালের আগে ইংল্যান্ডের সাদা বলের অধিনায়ক আর আইপিএল খেলতে পারবেন না।
তরুণ ক্রিকেটার হ্যারি ব্রুক ২০২৩ সালে প্রথম আইপিএল খেলেছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। সেবার ১১ ম্যাচে ১৯০ রান করেছিলেন তিনি। একটি ম্যাচে শতরান ছিল। তবে ধারাবাহিকতার অভাব ছিল ২৫ বছরের ক্রিকেটারের। যার ফলে নিয়মিত হতে পারেননি প্রথম একাদশে। ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকায় কেনা ব্যাটারকে ছেড়ে দিয়েছিল হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষ। ২০২৪ সালের আইপিএলের তাঁকে ৪ কোটি টাকায় কিনেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু প্রতিযোগিতার আগে ব্রুক জানিয়েছিলেন, পারিবারিক কারণে খেলতে পারবেন না। গত নিলামেও ব্রুককে ৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আইপিএল শুরু হওয়ার ১২ দিন আগে ব্রুক জানিয়ে দেন খেলতে পারবেন না। প্রতিযোগিতার আগে হঠাৎ সরে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে দু’বছরের জন্য সাসপেন্ড করেন আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, আইপিএলের নিলামে দল পাওয়ার পর অনেক ক্রিকেটার খেলতে চান না। এতে দলগুলি সমস্যায় পড়ে। বিকল্প ক্রিকেটারের ব্যবস্থা করতে হয়। তবে সবসময় সম মানের ক্রিকেটার পাওয়া যায় না। দলগুলির সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে আইপিএলের গত নিলামের আগেই কর্তৃপক্ষ একটি সিদ্ধান্ত নেন। তা হল, কোনও ক্রিকেটার দল পাওয়ার পর যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ালে তাঁকে দু’বছরের জন্য আইপিএল থেকে সাসপেন্ড করা হবে। এই কারণেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত ব্রুক আইপিএলে নিষিদ্ধ। সে কারণেই এবার নিলামে নাম নথিবদ্ধ করাতে পারেননি ইংল্যান্ডের সাদা বলের অধিনায়ক। প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হিসাবে এই শাস্তি পেলেন ব্রুক।
তবে ব্রুক জানিয়েছেন, ‘দেশের হয়ে খেলাকেই প্রাধান্য দিয়েছি। এর জন্য আর্থিক ক্ষতি হলেও সমস্যা নেই। বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আগামীদিনেও খেলতে পারব। এখন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলাই আমার কাছে প্রথম অগ্রাধিকার।’ ব্রুক এটাও জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এই বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। ব্রুকের কথায়, ‘বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। তবে আমাকে সাসপেন্ড করতেই পারে। সমস্যা নেই। দেশের হয়ে খেলাকেই আমি প্রাধান্য দেব।’
