আজকাল ওয়েবডেস্ক: চোটের কবলে লিটন দাস। তাই ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাকের আলি। বুধবার ভারতের কাছে বাংলার বাঘেরা হেরে যাওয়ায় বৃহস্পতিবারের পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ কার্যত সেমিফাইনাল হয়ে গিয়েছে। 

ভারত ইতিমধ্যেই ফাইনালের ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। রবিবার সূর্যকুমার যাদবদের প্রতিপক্ষ কারা, তা স্থির হয়ে যাবে বৃহস্পতিবার রাতেই। 

পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত ২৫টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে পাকিস্তান জিতেছে ২০টিতে। আর বাংলাদেশ জিতেছে পাঁচটিতে। এদিকে জুলাইয়ে বাংলাদেশ তাদের ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে ২-১-এ হারিয়েছে। ফলে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বাংলাদেশের।  

আরও পড়ুন: অনুরোধ মেনে নিল বোর্ড, লাল বলের ক্রিকেট থেকে আপাতত বিশ্রাম দেওয়া হল শ্রেয়সকে...

ভারত-ম্যাচের পরে বাংলাদেশের অধিনায়ক জাকের আলি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ''আমরা কাউকেই হালকা ভাবে নিচ্ছি না। তার পরিবর্তে আমাদের শক্তি ও ক্ষমতাতেই ফোকাস করছি। এর আগে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে দু'বার খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতাগুলো সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই আমরা।'' 

এদিকে ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স একপ্রকার হুমকি দিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়াকে। 

সিমন্স বলেছিলেন, ''ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে সব দলেরই। নির্দিষ্ট দিনে যে ভাল খেলবে, সেই ম্যাচ জিতবে। ভারত আগে কী করেছে তা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। বুধবার কী হবে, তার উপরে নির্ভর করবে সব। ওই সাড়ে তিন ঘণ্টায় কে কেমন খেলে, তার উপরে নির্ভর করছে সব। আমরা নিজেদের সেরাটা তুলে ধরার চেষ্টা করব। ভারতের ভুল ভ্রান্তির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করব। এভাবে আমাদের ম্যাচ জিততে হবে।'' 

কিন্তু কার্যক্ষেত্রে উলটো ছবি দেখা যায়। ভারত ৪১ রানে ম্যাচ জেতে। টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক জাকের আলি। অভিষেক বিস্ফোরণে ভারত করে ১৬৮ রান। 

টিম ইন্ডিয়ার রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থেমে যায় ১২৭ রানে। বাংলার বাঘেদের মধ্যে সইফ হাসান একমাত্র ব্যাট হাতে লড়ে যান। ৫১ বলে ৬৯ রান করেন তিনি। বাকিরা এলেন আর গেলেন। 

পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচে শেষ হাসি তোলা থাকবে কার জন্য? বৃহস্পতিবারের দুবাইয়ে। এদিকে 

চলতি এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত ১২টি ক্যাচ ছেড়েছে ভারত। গত রবিবার ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচে চারটি ক্যাচ ভারতীয় ফিল্ডারদের হাতছাড়া হয়। বুধবার বাংলাদেশ ম্যাচে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচে। বাংলাদেশি ওপেনার সইফ হাসানেরই চারটি ক্যাচ ছাড়েন অক্ষর প্যাটেলরা। শেষ পর্যন্ত ৬৯ রান করে মাঠ ছাড়েন সইফ। এশিয়া কাপে এত ক্যাচ মিস আর কোনও দল করেনি।

ফিল্ডারদের হতশ্রী পারফরম্যান্স সত্ত্বেও অবশ্য বোলার এবং ব্যাটারদের দাপটে ম্যাচ জিতে চলেছে ভারত। কিন্তু ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। বুধবার বাংলাদেশকে হারানোর পর স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী সাফ জানান, ‘‌ক্যাচ পড়লেও বোলাররা সেই ক্ষতি বুঝতে দিচ্ছে না, সেটা ইতিবাচক। কিন্তু সামনে বিশ্বকাপ রয়েছে। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে দল। তাই ক্যাচ নেওয়াটা অভ্যাস করতে হবে। পাক ম্যাচের পর ফিল্ডিং কোচ সেভাবে কিছু বলেননি। তবে নিশ্চয়ই ওঁর অনেক কিছু বলার থাকবে।’‌

 

আরও পড়ুন: অভিষেকে মুগ্ধ ওয়াঘার ওপারও, প্রাক্তন পাক অধিনায়ক বলছেন, 'ও তো নেট প্র্যাকটিস করছে'