আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নামার আগে হুঙ্কার বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্সের। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ধরেই নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া অপ্রতিরোধ্য। এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হবে সূর্যকুমার যাদবরা। আগের দিন চেতেশ্বর পূজারা জানান, ভারতীয় দলকে হারানো কঠিন। এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন দাবি সিমন্সের। বাংলাদেশের কোচ জানান, প্রত্যেক দলের টিম ইন্ডিয়াকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে। আটের শেষ এবং নয়ের দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাতীয় দলে খেলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। তিনি মনে করেন, নির্দিষ্ট দিনের পারফরম্যান্সের ওপর সবকিছু নির্ভর করে। সিমন্স বলেন, 'ম্যাচটা দিনের দিন খেলা হয়। ভারত আগে কী করেছে সেটা বিবেচ্য হবে না। বুধবার কে কেমন খেলবে সেটাই আসল। সাড়ে তিন ঘণ্টায় কী হয় সেটাই দেখার। আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি ভারতীয় দলের দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারব। এইভাবেই আমরা ম্যাচ জিতি।'
সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে যা আত্মবিশ্বাস বাড়াবে ওপার বাংলার দলের। বুধবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফোকাস ধরে রেখে ভারতের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে চায় বাংলাদেশ। সিমন্স বলেন, 'প্রত্যেক ম্যাচ, বিশেষ করে যেখানে ভারতীয় দল খেলে, সেই ম্যাচে উত্তেজনা থাকবেই। কারণ ভারত বিশ্বের একনম্বর টি-২০ দল। তাই উত্তেজনা থাকবেই। আমরা সেই মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই।' দুবাইয়ের উইকেট সাধারণত একটু মন্থর। স্পিনাররা সাহায্য পায়। কিন্তু বাংলাদেশের কোচ মনে করেন, ব্যাটিংয়ের জন্য উপযুক্ত উইকেট। দাবি, টস কোনও ফ্যাক্টর গড়ে দেবে না। সিমন্স বলেন, 'আমি ৪০ ওভারের মধ্যে উইকেটে তেমন পরিবর্তন দেখিনি। পিচ ব্যাট করার জন্য উপযুক্ত। বোলারদের কসরত করতে হয়েছে। আমি মনে করি না টস পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।'
সেপ্টেম্বরের গরমের মধ্যে পরপর ম্যাচ খেলার চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করেন সিমন্স। তাঁদের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা করে ফ্যানরা। কিন্তু কর্ণপাত করতে চান না বাংলাদেশের কোচ। ঝুঁকিপূর্ণ ক্রিকেটের থেকে ধারাবাহিকতাকেই গুরুত্ব দেন তিনি। সিমন্স বলেন, 'ব্যাক টু ব্যাক টি-২০ ম্যাচ এবং একদিনের ম্যাচ খেলা কঠিন। তবে আমরা প্রস্তুত। আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। ছেলেরা ফিট। ঝুঁকি নেওয়ার থেকেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখা গুরুত্তপূর্ণ। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এভাবেই খেলার চেষ্টা করছি। তার জন্য সঠিক প্লেয়ারদের বেছে নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেটা আমাদের সাহায্য করেছে। আমি সমালোচনার তোয়াক্কা করি না। যতক্ষণ আমি, দলের অধিনায়ক এবং বাকি স্টাফরা নিজেদের কাজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, ততদিন বাকি কোনও কিছুর জায়গা নেই।' বুধ রাতে দুবাইয়ে অঘটনের লক্ষ্য নিয়ে নামবে বাংলাদেশ।
