আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডার্বির ২৪ ঘন্টা আগে বড় ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল। বড় ম্যাচে নেই আনোয়ার আলি। দলের সঙ্গে গুয়াহাটি যাচ্ছেন না। রাত পোহালেই ডার্বি। কিন্তু ম্যাচ পড়শী রাজ্যে সরে যাওয়ায় কলকাতায় কোনও উন্মাদনার লেশমাত্র নেই। শেষ মুহূর্তে ডার্বির ভেন্যু ঘোষণা হওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও যাওয়ার উপায় নেই সমর্থকদের। তবে তারমধ্যেও কলকাতা থেকে গুয়াহাটি যাচ্ছে গুটিকয়েক সমর্থক। সংখ্যা বেশি সবুজ মেরুন ভক্তদের। মোট ২৪ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছে। কিন্তু মাঠ ভরার সম্ভাবনা নেই। তারই মধ্যে লাল হলুদ সমর্থকদের চিন্তা বাড়িয়ে দিলেন আনোয়ার আলি। প্রাক ডার্বি অনুশীলনে হাজির ছিলেন না দেশের একনম্বর ডিফেন্ডার। শোনা যাচ্ছে দলের সঙ্গে গুয়াহাটি যাবেন না তিনি। লম্বা মরশুমের কথা ভেবে হয়তো আনোয়ারকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না অস্কার ব্রুজো। আগের দিন জানিয়েছিলেন, তারকা ডিফেন্ডারের প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ। তবে ২০ জয়ের দলে থাকবেন। কিন্তু এদিন ডার্বির চূড়ান্ত অনুশীলনে না থাকায় উদ্বেগ বাড়ান সমর্থকদের। রাত ন'টার বিমানে গুয়াহাটি উড়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল দল। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, গুয়াহাটি যাচ্ছেন না তারকা ডিফেন্ডার। 

ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, 'মনে হয় আনোয়ার দলের সঙ্গে গুয়াহাটি যেতে পারছে না। কে থাকল বা থাকল না এইধরনের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ডার্বিতে আসল হল টেম্পারামেন্ট। যে ৯০ মিনিট স্নায়ু ধরে রাখতে পারবে, তাঁরা জিতবে।' এদিন ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে যোগ দেন বাংলার সন্তোষ ট্রফি দলের অধিনায়ক চাকু মান্ডি। শুক্রবার সকালে রাজারহাটের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে প্রাক ডার্বি প্রস্তুতি সারে লাল হলুদ ব্রিগেড। আনোয়ারের না থাকা বড় ধাক্কা। তবে লাল হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের দাবি, পিছিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল ভয়ঙ্কর। প্রথমে যাওয়ার কথা না থাকলেও, কোচের অনুরোধে শেষমুহূর্তে গুয়াহাটি যেতে পারেন তিনি।