আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইংল্যান্ড সিরিজে বল হাতে সেরা পারফর্মার ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন। প্রত্যেক টেস্টে খেলেন। নিজেকে নিংড়ে দেন। তবে এটাকেই সিরাজের সেরা পারফরম্যান্স মানতে চাইলেন না আকাশ দীপ। সিরাজের সতীর্থ, তথা বাংলার পেসার মনে করেন, এটা তাঁর সেরা ছিল না। আকাশ দীপ বলেন, 'টানা পাঁচটা টেস্ট খেলেছে। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত এত পরিশ্রম, নিজের সবটুকু উজাড় করে দেওয়া নেহাতই প্রশংসার। সবাই তার সাক্ষী থেকেছে। এত পরিশ্রম করলে পজিটিভ রেজাল্ট মিলবেই। কিন্তু আমি ওকে যতটা দেখেছি, এটাই ওর সেরা পারফরম্যান্স বলতে পারব না। তবে ওর মাইন্ডসেট সত্যিই আলাদা। ও সবসময় আমাদের বিশ্বাস করাতে চাইত যে আমরা এটা করতে পারব। টানা আত্মবিশ্বাস যোগায়। বলে, আমরা উইকেট নেবোই। টেস্ট ম্যাচে মাঝেমধ্যে মনোবল তলানিতে গিয়ে ঠেকে, কারণ আমরা টি-২০ ক্রিকেটের ট্যাকটিক্স কাজে লাগাতে পারি না। কিন্তু সিরাজ বরাবর ইতিবাচক মনোভাব রেখেছিল। কঠিন সময়ও ওর শরীরীভাষা ইতিবাচক ছিল।'

একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও বড় দাবি করে বসেন আকাশ দীপ। বাংলার পেসার জানান, বিরাট কোহলির অভাব বোধ করেননি। তারকা ক্রিকেটার থাকলে কি সিরিজ জিততে পারত ভারত? বাংলার তারকা পেসারের দাবি, তিনি কোহলির অনুপস্থিতির টের পাননি। আকাশ দীপ বলেন, 'ক্রিকেট একজনের খেলা নয়। এটা দলগত খেলা। সবাইকে ভাল খেলতে হয়। একদিন আমিও দলের অঙ্গ থাকব না। আমার পরে অন্য কেউ আসবে। কিন্তু দলের পরিবেশ এক থাকবে। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা। কোহলি ভাই কত বড় ক্রিকেটার সেটা সবাই জানে। ভারতীয় দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। এখন শুভমনের সময়। প্রথম সিরিজেই নজর কেড়েছে। সেটাই আসল। বাকি সব নিয়ে আমি ভাবতে চাই না।' 

আকাশ দীপ তারকা ক্রিকেটারের অভাব বোধ না করলেও, ইংল্যান্ডে কোহলিকে দেখতে চেয়েছিলেন দিলীপ ভেঙ্গসরকর। তিনি দাবি করেন, বোর্ডের পদে থাকলে ইংল্যান্ড সিরিজের পরে তাঁকে অবসর নেওয়ার জন্য জোর করতেন। এই প্রসঙ্গে ভেঙ্গসরকর বলেন, 'আমি যদি বোর্ডের মুখ্য নির্বাচক হতাম, ইংল্যান্ড সিরিজ খেলে তারপর টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার জন্য জোর করতাম কোহলিকে। এই সিরিজে ওর ক্লাস এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ছিল।' রানের দিক থেকে টিম ইন্ডিয়ার তরুণ ব্রিগেড দুই মহাতারকার অভাব ঢেকে দিলেও কোহলিকে খেলানোর পক্ষপাতী ছিলেন প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান।