আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্মিলিত ভাবে ক্লাবগুলো চেয়েছিল আইএসএল পরিচালনা করতে। তাদের সেই প্রস্তাবে স্বীকৃতি দিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল তো ক্লাব জোটের প্রস্তাবে সায় দেয়নি। তারা সরে এসেছে। লাল-হলুদ ছাড়া কি আইএসএল সম্ভব? 

২০ ডিসেম্বর ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভা। সেই সভায় এই বিষয় নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হবে। সবুজ সঙ্কেত কি মিলবে? গোটা দেশ এখন তাকিয়ে সেই বার্ষিক সাধারণ সভার দিকে। 

আইএসএল নিয়ে অচলাবস্থা চলছিল। জট কাটানো সম্ভবই হচ্ছিল না। ক্রীড়ামন্ত্রী ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। তাতেও সমাধানসূত্র বের করা যায়নি। 

এর মধ্যেই ক্লাবজোট জানায় তারা প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চায়। সেই প্রস্তাবকেই স্বীকৃতি দিয়েছে ফেডারেশন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ক্লাবজোটের সেই প্রস্তাবে সই করেনি। সুপার কাপের ফাইনালে ব্যর্থতার পরে ফুটবলারদেরও অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে ইস্টবেঙ্গল।  

এতদিন টালবাহানা করছিল এআইএফএফ। অনড় অবস্থান নিয়েছিল তারা। কিন্তু এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে দ্রুত সমাধানসূত্র বের করা সম্ভব নয়। টাকার থলি নিয়েও এগিয়ে আসছে না কেউ। কিন্তু 'শো মাস্ট গো অন'। দেশে বন্ধ থাকবে সর্বোচ্চ লিগ, এটাও হতে পারে না। সেই কারণে ফেডারেশন ক্লাবজোটের প্রস্তাব একপ্রকার মেনে নিল। 

অর্থাৎ ক্লাবগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে আইএসএল আয়োজন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফেডারেশন। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এভাবেই ফুটবল লিগ হয়। 
 
ভারতীয় ফুটবলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল প্রাক্তন ফুটবলার অর্ণব মণ্ডল। তিনি বলছেন, ''কোথাও একটা সমাধানসূত্র নিশ্চয় বেরিয়ে এসেছে। সেই কারণেই আশার আলো নতুন করে দেখা যাচ্ছে। দেশে আবার চালু হোক ফুটবল। ফুটবলারদের পায়ে বল নেই, এই দৃশ্য দেখতে ভাল লাগে না।'' 

আশার আলো দেখার দিন বহু যুদ্ধের সৈনিক অর্ণব মণ্ডল মনে করেছেন, এভাবে চললে ভারতীয় ফুটবলের উপরেও ধাক্কা আসবে। বহির্বিশ্বের কাছে ভুল বার্তাও পৌঁছবে। 

দূরের দিকে তাকিয়ে অর্ণব বলছেন, খালিদ জামিলের পরিবর্তে দক্ষ কোনও কোচের হাতে তুলে দেওয়া হোক জাতীয় দলের রিমোট কন্ট্রোল। খালিদের হাতে ভারতীয় ফুটবল উন্নতির হাইওয়েতে উঠতে পারবে না। 

তবে ফেডারেশন ও ক্লাব জোটের এখন চিন্তা একটাই। দেশে চালু করা হোক ফুটবল। ভারতীয় ফুটবলের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়, তার উত্তর একমাত্র দিতে পারে সময়। কারণ এর আগে বহু চেষ্টা করেও জট খোলা যায়নি। তাই অপেক্ষা করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও উপায় নেই।