আজকাল ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দাবি করেছিলেন যে পাক সেনাবাহিনী ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। তাঁর দাবি ছিল, ছ’টি যুদ্ধবিমানই রাফাল। তবে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধান (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ) অনিল চৌহান সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন, সংঘর্ষের সময় কিছু যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু রাফাল-সহ ছ’টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের আরও কিছু দেশ রয়েছে যারা রাফালের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী। আসুন তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রান্সের ডাসল্ট অ্যাভিয়েশন রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রস্তুতকারক। আকাশপথের নিরাপত্তার জন্যও এগুলি ব্যবহার করে ফ্রান্স। এছাড়াও মিশর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইন্দোনেশিয়া এবং গ্রীস রাফাল ব্যবহার করে থাকে। ফরাসি নৌবাহিনী রাফালের নৌ সংস্করণ রাফাল মেরিন ব্যবহার করে।
এই জেটগুলি প্রথম কিনেছিল মিশর। রাফালে কেনার জন্য মিশর ২০১৪ সালে প্যারিসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মিশর আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রান্স থেকে ২৪টি রাফালে বিমানের অর্ডার দেয়। মিশরের পর, কাতার রাফাল কিনে নেয়।
আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং লিবিয়ায় ফরাসি বিমান বাহিনী মোতায়েনের সময় রাফাল যুদ্ধবিমানের যুদ্ধ কার্যকারিতা সকলের নজরে পড়ে। ১৯ মার্চ, ২০১১ তারিখে অপারেশন হারমাটান চলাকালীন একটি উল্লেখযোগ্য অভিযান চালানো হয়েছিল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৭৩ সালের প্রস্তাবের সমর্থনে লিবিয়ায় নজরদারি এবং হামলা চালানো হয়েছিল রাফাল বিমান দিয়ে। এর ফলে লিবিয়ান জি-২/গালেব বিমান এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়। যা রাফালের স্বাধীনভাবে পরিচালনা করার ক্ষমতা তুলে ধরে। এই সফল অভিযানগুলির রাফালের প্রতি আন্তর্জাতিক আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
রাফাল যুদ্ধবিমান বিশ্বের সবচেয়ে দামি বিমানগুলির মধ্যে একটি। ভারত সম্প্রতি ফ্রান্সের কাছ থেকে ২৬টি রাফাল মেরিন জেট কেনার বরাদ্দ দিয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৬৩,০০০ কোটি টাকা (প্রায় ৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। সেই হিসেবে একটি রাফাল বিমানের মূল্য ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
