আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা রাজনীতির শিকার। এমনটাই দাবি করলেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার কারসন ঘাউড়ি।
২০২৪ সালে টি২০ আন্তর্জাতিক ও ২০২৫ সালে ইংল্যান্ড সিরিজের আগে আচমকাই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন বিরাট ও রোহিত। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। অবসরের কারণ হিসেবে খারাপ ফর্ম সহ আরও নানা কারণ উঠে এসেছিল। কিন্তু দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার কারসন ঘাউড়ি বলছেন অবসরের পিছনে রয়েছে নোংরা রাজনীতি।
ঘাউড়ির মতে, লাল বলের ক্রিকেটে আরও খেলার ইচ্ছা ছিল বিরাট ও রোহিতের। কিন্তু দলের মধ্যে রাজনীতির কারণেই দু’জনকে সরে যেতে হল। ঘাউড়ির কথায়, ‘কোহলি তো টেস্টে আরও কয়েক বছর খেলা অনায়াসে চালিয়ে যেতে পারত। কিন্তু কিছু বিষয় জোর করে বিরাটকে অবসর নিতে বাধ্য করল। দুর্ভাগ্যজনক যে একটা ভাল বিদায় সংবর্ধনাও বিরাট পেল না।’ ঘাউড়ির কথায়, ‘বিরাটের মতো ক্রিকেটারের দেশের জন্য বিরাট অবদান। তাঁর একটা জমকালো বিদায় সংবর্ধনা প্রাপ্য ছিল। কিন্তু বিসিসিআই সেটা দিল না।’
ঘাউড়ির মতে, নির্বাচক কমিটির অনভিজ্ঞতাই বিরাট ও রোহিতের অবসরের কারণ হয়ে থাকল। তিনি বলেছেন, ‘বোর্ডের মধ্যে রাজনীতি ঢুকে গেছে। তারই শিকার হল বিরাট ও রোহিত। দু’জনকেই হয়ত সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছিল।’ ঘাউড়ির আরও সংযোজন, ‘এইভাবে ওঁরা ছাড়তে চায়নি। বিরাট ও রোহিত খেলতে চেয়েছিল। নির্বাচকরা ও বোর্ডের অন্য ভাবনা ছিল। যাকে বলে নোংরা রাজনীতি।’
এদিকে, দুই ক্রিকেটার এখনও ওয়ানডে আন্তর্জাতিকে আছেন। বিরাট ৩০২ টি ওয়ানডে ম্যাচে ২৯০ ইনিংসে করেছেন ১৪১৮১ রান। গড় ৫৭.৮৮। রয়েছে ৫১ শতরান ও ৭৪ অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ ১৮৩। অন্যদিকে, রোহিত ২৭২ ম্যাচে ২৬৫ ইনিংসে করেছেন ১১১৬৮ রান। গড় ৪৮.৭৬। রয়েছে ৩২ শতরান ও ৫৯ অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ ২৬৪।
আরও পড়ুন: সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে ১৩৬ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙতে চলেছেন এই ক্রিকেটার
প্রসঙ্গত, টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সময় বিরাট এবং রোহিত ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কিন্তু সেই নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ টিম ইন্ডিয়ার সূচিতে খুব বেশি একদিনের ম্যাচ নেই। এত অল্প সংখ্যক ম্যাচ খেলে নিজেদের ফিটনেস কীভাবে ধরে রাখবেন এবং নিজেদের মোটিভেট করবেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া মনে করেন, ভুল ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন দুই তারকা। তাঁর মতে, টেস্ট খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল তাঁদের। আকাশ চোপড়া বলেছেন, ‘দু’জনেই ভুল ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছে। হঠাৎ করে টেস্টকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। ওরা শুধু একদিনের ক্রিকেট খেলবে বলে জানিয়েছে। এটাই সমস্যার। টেস্ট ক্রিকেট সবচেয়ে কঠিন। সাদা বলের ক্রিকেট গড়পড়তা। তবে টেস্টের ক্ষেত্রে সেটা আলাদা। টেস্ট যতটা কঠিন, ব্যাটারদের জন্য একদিনের ক্রিকেট ততটাই সহজ। সেইভাবে কোনও চাপ থাকে না।’ ২০২৭ বিশ্বকাপে কি দেখা যাবে টিম ইন্ডিয়ার দুই মহাতারকাকে? বর্তমানে এর উত্তর নেই।
