আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০১৯ সালে ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করার ঘটনায় জড়িত পাকিস্তানি মেজর মইজ আব্বাস শাহ খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি ছাড়াও আরও এক সেনা এই সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার একটি বিবৃতি পাক সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে অভিযান চালানোর সময় এই সংঘর্ষটি হয়। সেনার হাতে ১১ জন জঙ্গির নিধন হয়েছে। কিন্তু দু’জন সেনা জওয়ানও প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন আব্বাস। 

২০১৯ সালে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার ১২ দিন পর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা উদ্দেশে হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তান ভারতের সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে আক্রমণের পরিকল্পনা করে। ২৪টি যুদ্ধবিমানের একটি বহর ভারতের দিকে অগ্রসরও হয়। ভারতের তরফ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এর ফলে ডগফাইট শুরু হয়।

তৎকালীন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান শ্রীনগরের ৫১ স্কোয়াড্রনের ভারতীয় পুশব্যাক দলের অংশ ছিলেন। তাঁর বিমানটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপতিত করে। অভিনন্দন নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) ওপারে গিয়ে অবতরণ করেন।

অভিনন্দনকে আটকের পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। ভারত উইং কমান্ডারকে দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার পাকিস্তানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। আরও প্রতিশোধ নেওয়ার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেয়।

অবশেষে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘শান্তির ইঙ্গিত’ হিসেবে অভিনন্দনকে মুক্তির ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তকে মোদী সরকারের আক্রমণাত্মক অভিপ্রায়ের জয় হিসেবে দেখা হয়। পাকিস্তানের হাতে বন্দি হওয়ার ৫৮ ঘণ্টা পর ২৮শে ফেব্রুয়ারি রাতে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে অভিনন্দন ভারতে ফিরে আসেন।