আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। বুধবার নামবে টিম ইন্ডিয়া। এটা ঘটনা, ভারতের এশিয়া কাপের দলে শ্রেয়স আইয়ার জায়গা না পাওয়ার পর অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। ফর্মে থাকা শ্রেয়সকে কেন নেওয়া হয়নি? নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকার জানিয়েছিলেন, ১৫ জনের বেশি ক্রিকেটার নেওয়া যাবে না বলে বাদ পড়েছেন শ্রেয়স। সেটাই কি কারণ? শ্রেয়সের জায়গা না পাওয়ার নেপথ্যে কি গৌতম গম্ভীর? শ্রেয়সের কথায় তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএল জিতিয়েছিলেন শ্রেয়স। সেই সময় কেকেআরের মেন্টর গম্ভীর। অধিনায়ক হিসাবে ১০ বছর পর দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেও তাঁর কথা বলার জায়গা ছিল না বলে জানিয়েছেন শ্রেয়স। ‘জিকিউ ইন্ডিয়া’–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রেয়স বলেন, ‘কলকাতায় থাকাকালীন আমি আলোচনার মধ্যে থাকতাম। আমার সামনেই পরিকল্পনা করা হত। কিন্তু আমাকে পুরোপুরি যুক্ত করা হত না। আমার কথার গুরুত্ব ছিল না।’ তবে কি সব সিদ্ধান্ত গম্ভীরই নিতেন? তাঁর ‘হাতের পুতুল’ ছিলেন শ্রেয়স। সরাসরি না বললেও প্রাক্তন নাইট অধিনায়কের কথায় সেই ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন: ‘আগ্রাসন ছাড়া খেলা সম্ভব নয়’, হাইভোল্টেজ পাক মহারণের এক সপ্তাহ আগেই হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন স্কাই...
গত বারের নিলামের আগে শ্রেয়সকে ছেড়ে দিয়েছিল কেকেআর। জানা গিয়েছিল, তিনি নিজেই আর কলকাতায় থাকতে চাইছিলেন না। নিলামে ২৬ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় শ্রেয়সকে কিনেছিল পাঞ্জাব কিংস। নতুন দলকে প্রথম বারই ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। আইপিএল জেতাতে না পারলেও পাঞ্জাবে যে সম্মান তিনি পেয়েছেন, সে কথা জানিয়েছেন শ্রেয়স।
এটা ঘটনা, পাঞ্জাবে পুরনো কোচ রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে মিলে দলকে চালিয়েছেন শ্রেয়স। তিনি বলেন, ‘পাঞ্জাব আমাকে সব রকম স্বাধীনতা দিয়েছে। দলের ম্যানেজমেন্ট, কোচ সকলে আমার কথাকে গুরুত্ব দিয়েছে। মাঠের বাইরে ও মাঠে আমি পরিকল্পনা করেছি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজের মতো দল চালিয়েছি। এই স্বাধীনতা আমি কোথাও পাইনি।’
শ্রেয়সের কথা থেকে ইঙ্গিত, কোচ গম্ভীর হয়তো বিশেষ পছন্দ করেন না তাঁকে। সেই কারণেই কি এশিয়া কাপের দলে জায়গা হল না? বদলে ভারত ‘এ’ দলের নেতৃত্ব দিয়ে মন ভোলানো হল তাঁর। আপাতত সে সব নিয়ে ভাবতে চাইছেন না শ্রেয়স। তিনি বলেন, ‘যা আমার হাতে আছে সেটা নিয়েই আমি বলতে পারি। আমি ভাল খেলার চেষ্টা করছি। নিজেকে নিয়ে খাটছি। সুযোগ পেলে প্রমাণ করব। তত দিন অপেক্ষা করব।’
এদিকে, সূত্রের খবর, গতবারের এশিয়া কাপের তুলনায় এবারের পুরস্কারমূল্য প্রায় দ্বিগুণ করতে চলেছে এসিসি। এবারের চ্যাম্পিয়নরা পাবে ৩ লক্ষ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২.৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়ন ভারত পেয়েছিল ১.২৫ কোটি টাকা। এবারের রানার্সরা পাবে ১.৫ লক্ষ ডলার অর্থাৎ ১.৩ কোটি টাকা। টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারকে ১২.৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। তবে এখনও পুরস্কারমূল্য ইস্যুতে এসিসির তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: বন্ধুর বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন শুভমান, কে তিনি?
