আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেল জাপান। চলতি মাসেই অবশ্য জানা গিয়েছিল প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে জাপান। আর সেটাই সত্যি হল। অভিজ্ঞ রাজনীতিক সানে তাকাইচি হলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেলেও খুশি নন জাপানের মহিলা জনসংখ্যার একটা বড় অংশ। তাঁর রক্ষণশীল মানসিকতা, জাতীয়তাবাদী আদর্শ নিয়ে অস্বস্তিতে অনেকেই।
৬৪ বছর বয়সি সানে ক্ষমতাসীন লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য। জাপান সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীও। সামলেছেন অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক। একসময় টেলিভিশনে সঞ্চালনা করার পাশাপাশি সঙ্গীতের অনুরাগী সানে মেটাল ড্রামারও। পাশাপাশি মোটর বাইকের অনুরাগী তিনি। যৌবনে নিজের একটি মোটর বাইক ছিল তাঁর। তাতে চেপে ঘুরে বেড়াতেন।
Heartiest congratulations, Sanae Takaichi, on your election as the Prime Minister of Japan. I look forward to working closely with you to further strengthen the India–Japan Special Strategic and Global Partnership. Our deepening ties are vital for peace, stability, and prosperity…
— Narendra Modi (@narendramodi)Tweet by @narendramodi
লোয়ার হাউজে ২৩৭ ভোট পেয়েছিলেন তাকাইচি। সেখানে ম্যাজিক ফিগার ২৩৩। আর আপার হাউজে পেয়েছেন ১২৫ ভোট। ম্যাজিক ফিগারের থেকে এক ভোট কম। তাতে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী হওয়া আটকাচ্ছে না তাকাইচির।
জাপানের রাজনীতিতে সানে অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। কিন্তু তাঁকে নিয়ে বিতর্কও কম নয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে সময় দায়িত্বগ্রহণ করতে চলেছেন তিনি, তা অত্যন্ত গুরুতর। দুর্বল অর্থনীতি, মুদ্রাস্ফীতি থেকে দেশকে উদ্ধার করে আনার গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধেই চাপতে চলেছে। সেই সঙ্গে, বাণিজ্যশুল্ক নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে টানাপোড়েনও চলছে জাপানের। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই তাকাইচিকে অভিনন্দন জানিয়ে রেখেছেন। তাঁর দুরন্ত নেতৃত্বের প্রশংসাও করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘জাপানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচিকে অভিনন্দন। ভারত–জাপান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করা দরকার।’
