আজকাল ওয়েবডেস্ক: টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ। তবুও ক্যারিবিয়ানদের লড়াইয়ের প্রশংসা করলেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। তাঁর মতে, ক্রিকেটের স্বার্থেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসা প্রয়োজন। ম্যাচের পর রোস্টন চেজদের সাজঘরে গিয়ে তাঁদের উৎসাহিত করেন গম্ভীর।
দিল্লি টেস্ট শেষ হওয়ার পর সাজঘরের দরজা বন্ধ করে বসেছিলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা। দরজা খুলে নিজেই প্রতিপক্ষের সাজঘরে ঢুকে যান গম্ভীর। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের হতাশা। তাঁদের প্রাথমিক জড়তা কাটার পর কথা বলেন গম্ভীর। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তোমরা যেভাবে লড়াই করেছ, সেটা সত্যিই প্রশংসার। তোমাদের ১১ জন ক্রিকেটারই লড়াই করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এমন লড়াই। দেখো, ক্রিকেট দলগত খেলা। এমন খেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, সকলের প্রতিটি অবদান প্রশংসিত হওয়া। কেউ সেঞ্চুরি করলে বা ৫ উইকেট নিলে, তাকে নিয়ে মাতামাতি হওয়া স্বাভাবিক। সেটাই হয় সাধারণত। কিন্তু তাদের পাশে দলের কোচ বা অন্য সাপোর্ট স্টাফদের দাঁড়ানোর প্রয়োজন হয় না। কিন্তু অনেক ছোট ছোট অবদান একটা দলকে গড়ে তোলে। বড় অবদানগুলো নিয়ে হয়তো আলোচনা হয়, সেগুলো শিরোনাম হয়, কিন্তু দল তৈরি হয় সকলের ছোট ছোট অবদানগুলো মিলিয়ে।’
গম্ভীর আরও বলেন, ‘শেষে তোমাদের একটা কথা বলতে চাই। আমি বিশ্বাস করি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্ব ক্রিকেটকে প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটের প্রয়োজন রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এই কথাটা তোমরা মনে রাখবে। একটা ক্রিকেট জাতির ভিত্তিই হল শক্তিশালী টেস্ট দল। তোমরা টেস্টের জার্সি যখনই পরবে, তখনই মনে করবে দেশের জন্য কিছু একটা করার সুযোগ রয়েছে। যারা টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে, তারা এমন সুযোগ খুবই কম পায়।’
এটা ঘটনা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির অধিকাংশ ক্রিকেটারই এখন টেস্ট খেলেন না। তাঁরা শুধু সাদা বলের ক্রিকেট খেলেন। বিশেষ করে ২০ ওভারের ক্রিকেট। বিভিন্ন দেশের টি–টোয়েন্টি লিগ খেলেন তাঁরা। মূলত বেশি রোজগারের জন্যই টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান না তাঁরা। ফলে দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দল।
