কৌশিক রায়:‌ শনিবারে ইডেনে মুখোমুখি হচ্ছে নেদারল্যান্ডস এবং বাংলাদেশ। চলতি ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইডেনে প্রথম ম্যাচ এটাই। তার দুদিন আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সিএবি কর্তারা। বিশ্বকাপের ম্যাচ বলে কথা, আর ইডেন সাজবে না তা কি হয়? তবে বাংলাদেশ ম্যাচের দু’‌দিন আগে ইডেনের বাইরের চিত্রটা দেখলে সন্দেহ জাগবে। এটা আদৌ কলকাতাই তো? না কি ঢাকা? বিকেল পাঁচটা নাগাদ টিম বাস এল বাংলাদেশের। মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদরা যখন নামছেন, সেই সময় সবুজ জার্সির চিৎকারে কান পাতা দায়। কারোর মুখে মুশফি ভাই তো কেউ আবার চিৎকার করছেন তাসকিন আহমেদের নাম ধরে। সমর্থকদের মুখে একটাই কথা, দল জিতুক বা হারুক, আমরা সবসময় পাশে আছি।  কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের প্রেস সচিব রঞ্জন সেন বললেন, ‘‌সঠিক সংখ্যা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতায় খেলা দেখতে বাংলাদেশ থেকে হাজারেরও বেশি সমর্থক এসেছেন।’‌ নিউ মার্কেটের পিছন দিকে মার্কুইস স্ট্রিটের হোটেলগুলিতে উঠেছেন বেশির ভাগ সমর্থক। বিশ্বকাপ দেখতে আসবেন বলে পাঁচ থেকে সাত মাস ধরে টাকা জমাচ্ছেন ঢাকার বাসিন্দা শামিম। তিনি ছাত্র। টিউশন পড়িয়ে যে টাকা পান তা দিয়েই টিকিট কিনে চলে এসেছেন কলকাতা। শামিম জানালেন, ‘‌কলকাতার ম্যাচগুলো তো দেখবই। টিকিটও তুলে নিয়েছি। দল যেরকম ফলই করুক না কেন গলা ফাটাতে আমরা সব সময় আছি।’‌ তামিম নামে আর এক সমর্থক আবার কলকাতা উড়ে এসেছেন মুম্বই থেকে। ম্যাচের টিকিট তুলতে ইডেনের দিকেই যাচ্ছিলেন তিনি। বললেন, ‘‌বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ থেকেই ভারতে রয়েছি। কলকাতায় যে কটা খেলা আছে সবই দেখব।’‌ ডাচ আর বাংলাদেশের ম্যাচ হলেও উন্মাদনা কিন্তু কম নেই সমর্থকদের। অপেক্ষা শুধু শনিবারের। তারপরেই বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়বে ইডেনে।