আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়া কোথাও আইনত নিষিদ্ধ কোথাও আবার আইনত অবৈধ নয়। কিন্তু নৈতিকতার দিক থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে অনেকের মনে। বিশেষ করে প্রিয়জন যদি এই ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাহলে তার অভিঘাত হতে পারে গুরুতর। ভেঙে যেতে পারে বিশ্বাস, নড়ে যেতে পারে সম্পর্কের গোড়া। এই ধরনের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হলে বহু মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েন। কিন্তু সম্প্রতি নিজের স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে এমন এক পদক্ষেপ করলেন এক বধূ দেখে চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: প্রকাণ্ড করতে গিয়েছিলেন লিঙ্গ, ফস করে পুরোটাই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! মাথায় হাত রোগীর

মধ্যচিনের হুনান প্রদেশের চানসা অঞ্চলের বাসিন্দা ওই বধূ সম্প্রতি জানতে পারেন তাঁরই সবচেয়ে কাছের বান্ধবীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্বামীর। দীর্ঘ ১২ বছরের ওই বান্ধবী এবং স্বামীর কীর্তিতে ক্ষুব্ধ হয়ে বধু যা করলেন তা দেখে অবাক স্থানীয় মানুষজন। নিজের স্বামী এবং বান্ধবীর পরকীয়ার কথা রীতিমতো ব্যানারে ছাপিয়ে হাউসিং কমপ্লেক্সের গেটে টাঙিয়ে দিলেন তিনি। প্রকাণ্ডই ব্যানারে অভিযোগকারী মহিলা আঙুল তুলেছেন তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী শি নামের এক মহিলার দিকে। শি চিনের হংসং অঞ্চলে পর্যটন বিভাগের অর্থ দপ্তরে কাজ করেন বলে অভিযোগ।

ব্যানারে মহিলা লিখেছেন, “শি জনসাধারণের সঙ্গে প্রবঞ্চনার পাশাপাশি নিজের বান্ধবী এবং নৈতিকতার সঙ্গেও প্রবঞ্চনা করেছেন। সবচেয়ে কাছের বান্ধবীর স্বামীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন তিনি।” মহিলা আরও অভিযোগ করেছেন, “আমরা দীর্ঘ ১২ বছরের বন্ধু। অথচ শি গত ৫ বছর ধরে আমার স্বামীকে যৌন পরিষেবা দিয়ে আসছে। অফিস চলাকালীন কাজ না করে শি তাঁর বান্ধবীর স্বামীর সঙ্গে হোটেলে গিয়ে সময় কাটাতেন।”

শুধু ব্যানার টাঙিয়ে ক্ষান্ত হননি অভিযোগকারী মহিলা। সঙ্গে রীতিমতো রঙিন কাগজ দিয়ে বান্ধবীর বাড়ি এবং গাড়ি সাজিয়েও দিয়েছেন তিনি। এমনটাই খবর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
আরও পড়ুন: প্রকাণ্ড করতে গিয়েছিলেন লিঙ্গ, ফস করে পুরোটাই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! মাথায় হাত রোগীর

বিষয়টি নিয়ে তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়েছে পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যেও। পড়শিদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে হাসি ঠাট্টা করলেও হংসং-এর পর্যটন অফিস বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে বলেই খবর প্রশাসন সূত্রে। শি নামের এক মহিলার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও খবর। অভিযোগকারী মহিলা পর্যটন দপ্তরের বাইরেও একাধিক পোস্টার টাঙিয়েছিলেন। তবে দ্রুত সেসব পোস্টার নামিয়ে ফেলা হয়। তবে সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত পর্যটন দপ্তরের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রকাণ্ড করতে গিয়েছিলেন লিঙ্গ, ফস করে পুরোটাই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! মাথায় হাত রোগীর

চিনের আইন বিশেষজ্ঞদের অবশ্য দাবি, গোটা ঘটনায় কেবল পরকীয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরাই নন আইনি ঝামেলায় পড়তে পারেন অভিযোগকারিণী নিজেও। এইভাবে প্রকাশ্যে ব্যানার টাঙিয়ে মহিলা তাঁর বান্ধবীর গোপনীয়তার অধিকার এবং সামাজিক সম্মানের নষ্ট করেছেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এই ধরনের কাজের জন্য অভিযোগকারিণীর মোটা অঙ্কের জরিমানা হতে পারে। আবার অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করতে পারেন অভিযুক্ত। সেক্ষেত্রে আরও বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে অভিযোগকারিণীকে। তবে আইন যাই বলুক না কেন, বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিনের সমাজমাধ্যমে। নেটিজেনদের কেউ সমর্থন করছেন অভিযোগকারিণীকে। কারও মনে হচ্ছে, এভাবে প্রকাশ্যে অভিযোগ করা মানসিক হেনস্থার সমান।