আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঈর্ষা যে কোনও সম্পর্ককে বিষিয়ে দিতে পারে। তেমনই প্রমাণ মিলল ব্রাজিলের একটি ঘটনায়। সেই ঘটনার বীভৎসতায় ঘাবড়ে গিয়েছেন নেটিজেনরাও। নিজের স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে সেই টুকরো দিয়েই ঝোল রান্না করলেন এক বধূ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম ব্রাজিলের এক্রিলেন্ডিয়া অঞ্চলে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলার পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর অভিযুক্ত বধূর বয়স ৩৭। পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার পর প্রাণে বাঁচেননি স্বামী। বাড়ি থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। সে সময়ই দেখা যায় তাঁর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই স্বামীকে খুনের কথা এবং তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মহিলা।
কিন্তু হঠাৎ কেন এমন বীভৎস কাজ করলেন তিনি? গোয়েন্দাদের অভিযুক্ত মহিলা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই একদিন বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন পর্ন ছবি দেখছেন স্বামী। আর তাতেই তাঁর মনে ঈর্ষা জন্ম নেয়। তিনি থাকতে অন্য নারীর প্রতি আকর্ষণ কেন? এই আক্রোশে প্রতিশোধ নিতে চড়াও হন স্বামীর উপর। কেটে নেন তাঁর পুরুষাঙ্গ। আঘাতে মারা যান স্বামী। এখানেই শেষ নয়, মৃত স্বামীর পুরুষাঙ্গ দিয়ে রীতিমতো ঝোল রান্না করেন বধূ। তবে সেই ঝোল তিনি একা খেয়েছেন না অন্য কাউকেও খাইয়েছেন সে কথা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ।
ঘটনার বীভৎসতায় চমকে গিয়েছেন মনোবিদরাও। একটি ব্রিটিশ সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনোবিদ অ্যালেন মুর জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা একাধিক কারণে ঘটতে পারে। এমন হতে পারে যে ওই মহিলা দীর্ঘদিন ধরেই ঈর্ষা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, ঘটনার দিন হঠাৎ করেই ফেটে পড়েছে সেই জিঘাংসা। আবার এমনও হতে পারে মহিলার মধ্যে সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা রয়েছে। তাই হিংসা বা ঈর্ষার মতো অনুভূতি অবজ্ঞা করা উচিত নয় বলেই মত তাঁর।
