আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেম না হয় কাঁঠালের আঠা, লাগলে আর ছাড়ে না। কিন্তু বিচ্ছেদও কি তেমনই আঁঠালো? এমন প্রশ্ন মাথায় আসতে পারে সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায়। তিরিশ বছর পরেও বিচ্ছেদের জ্বালা মেটাতে না পেরে প্রাক্তন প্রেমিকের বাড়িতে মল নিক্ষেপ করলেন এক মহিলা! গোটা বিষয়টি নিজেই রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন আক্রান্ত প্রাক্তন প্রেমিক।
গোটা ঘটনার কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে চীনের এক সংবাদমাধ্যমের খবরের মাধ্যমে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম চিয়াহ ওয়েই মিং। ৪৮ বছর বয়সি চিয়াহ সাংবাদিকদের জানান, গত ২৫ জুলাই হঠাৎ করেই তাঁর বাবা-মায়ের বাড়ির সামনে হাজির হন ৪৬ বছর বয়সি তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা। এর পরেই বাড়ি লক্ষ্য করে মল নিক্ষেপ করতে শুরু করেন তিনি। সেই এক দিনেই দু-দু’বার একই কাজ করেন অভিযুক্ত মহিলা। এমনকী গোটা ঘটনা রেকর্ড করে সেই ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে মহিলার বিরুদ্ধে। চিয়াহ-এর দাবি, সমাজমাধ্যমে মল নিক্ষেপ করার ভিডিও পোস্ট করে মহিলা লেখেন, “সকালের জলখাবার দিয়ে এলাম।” গোটা বিষয়টি রেকর্ড হয়ে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরাতেও। চিয়াহ সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, তিনি সব তথ্যপ্রমাণ নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ বার পুলিশের কাছে গিয়েছেন আক্রান্ত ব্যক্তি। মহিলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর, উল্টে টাকা-পয়সা দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এমনই অভিযোগ করেছেন হতাশ চিয়াহ।
চিয়াহ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় ১৯৯৬ সালে। সেই সময় এক বছরের চেয়েও কম সময় প্রণয়বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর পর চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত মহিলার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ ছিল না তাঁর। কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই আচমকা মল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
চিয়াহ-এর আরও দাবি, ওই মহিলা এই ঘটনা ঘটানোর পর তাঁর কাছে প্রায় ৩১ হাজার টাকা দাবি করেন। মহিলার অভিযোগ তাঁরা যখন একসঙ্গে ছিলেন, তখন নাকি চিয়াহ একটি মোটরবাইক কেনার জন্য ওই টাকা ধার করেছিলেন মহিলার থেকে। যদিও এই কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন চিয়াহ। তাঁর বক্তব্য, মহিলার সঙ্গে আলাপ হওয়ার আগে থেকেই তাঁর মোটরবাইক ছিল। কাজেই ধার-দেনার প্রশ্নই ওঠে না।
তবে এর পরেও হেনস্থা থেকে বাঁচতে পুলিশের মধ্যস্থতায় টাকা দিতে রাজি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তাঁর অভিযোগ টাকা নিয়ে বিষয়টি মেটাতে চাননি ওই মহিলা। উল্টে একবার টাকার কথা শুনে আরও বেশি টাকা চেয়ে বসেন মহিলা। এখন তিনি ৮০ হাজারের বেশি টাকা চাইছেন। বর্তমানে বিবাহিত চিয়াহ ৪ সন্তানের পিতা। সুখের সংসারে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এই হেনস্থায় যারপরনাই বিরক্ত তিনি। সেকারনেই ১০ তারিখ সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন তিনি। তাঁরা আশা এবার অন্তত মহিলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
