আজকাল ওয়েবডেস্ক: শাশুড়ি আর জামাইয়ের ষড়যন্ত্রে গোপনাঙ্গ খোয়ালেন এক প্রৌঢ়। মধ্য পঞ্চাশের স্বামী পরকীয়া করছেন, এমনই সন্দেহ করতেন অভিযুক্ত মহিলা। আর সেই সন্দেহকে কাজে লাগিয়েই শ্বশুরকে খুন করতে তাঁকে উস্কে দেন জামাই। প্রাথমিক তদন্তে এমনই অনুমান পুলিশের। তবে গুরুতর জখম হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন প্রৌঢ়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গঙ্ঘয়া এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, গঙ্ঘয়ার ইঞ্চেয়ন এলাকায় ৭ অগাস্ট ঘটনাটি ঘটে। রাত ১ টা নাগাদ একটি পানশালার বাইরে মদ্যপান করে বেঁহুশ হয়ে পড়েন আক্রান্ত প্রৌঢ়। সেই সময়ই সেখানে হাজির হন তাঁর স্ত্রী এবং জামাই। অভিযোগ প্রৌঢ়কে একা পেয়ে একাধিকবার ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেন দু’জন। নেশায় থাকার কারণে প্রতিরোধ করতে পারেননি আক্রান্ত ব্যক্তি। মুখ এবং হাতে একাধিকবার আঘাতের পর তাঁর গোপনাঙ্গে নজর পড়ে আক্রমণকারীদের। সেই অস্ত্র দিয়েই কেটে নেওয়া হয় গোপনাঙ্গ।
আরও পড়ুন: নিজেই জানতেন না তিনি অন্তঃসত্ত্বা! মলত্যাগ করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা
আরও পড়ুন: রোগীদের উপুড় করে নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলে নিতেন! তারপর…? বিস্ফোরক অভিযোগ নামী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
গোটা ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায় এলাকায়, প্রৌঢ়কে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে গ্রেফতার করে অভিযুক্তদের। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়া সত্ত্বেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। জামাই স্বীকার করে নিয়েছেন, শাশুড়িকে সাহায্য করতে শ্বশুরের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। মহিলাও স্বীকার করেছেন, স্বামী পরকীয়া করছেন এমন সন্দেহ থেকেও তাঁর উপর আক্রোশ জন্মায়। তাতেই আক্রমণ।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই একই ধরনের একটি ঘটনার খবর এসেছিল রাশিয়া থেকে। সেখানে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে বিচারপতিকে খুন করেন এক ব্যক্তি। আক্রান্ত ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে তাঁরই মুখে গুঁজে দিয়েছিলেন আততায়ী। শুধু তাই নয়, বিচারপতির এক চোখে ঢোকানো ছিল আস্ত একটি ছুরি!
রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত বিচারপতির নাম ভ্যাসিলি ভেটলুগিন। রাশিয়ার ভোলগোগ্রাদ অঞ্চলের বাসিন্দা তিনি। রাশিয়ার রাস্তা থেকে যখন ৪০ বছর বয়সি ভ্যাসিলির দেহ উদ্ধার হয় তখন হাড় হিম হয়ে যায় প্রত্যক্ষদর্শীদের।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল, ঘটনার কেন্দ্রে ছিল সম্পর্কের টানাপোড়েন। আততায়ীর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই বিচারপতি। বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে সঙ্গমরত অবস্থায় ধরে ফেলেন স্বামী। তাঁরই প্রতিশোধ নিতে প্রথমে একটি রুশ শটগান দিয়ে তাঁকে গুলি করেন। তারপর ছিন্নভিন্ন করেন দেহ। শেষ পর্যন্ত সবাইকে দেখানোর জন্য দেহ ফেলে রাখেন প্রকাশ্য রাস্তায়।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল ঘিরে ফেললেও তার আগেই বিচারপতির দেহের ছিন্নভিন্ন ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। প্রশাসনের তরফ থেকে সরকারি ভাবে কিছু ঘোষণা না করা হলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর আততায়ী নিজেই খুনের পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেন। স্বীকারোক্তিতে জানান, বিচারপতিকে সামনে পেতেই তিনি গুলি করেন তাঁকে। তার পর ছুরি দিয়ে কেটে নেন পুরুষাঙ্গ। সেই পুরুষাঙ্গ গুঁজে দেন বিচারপতির মুখেই।
