আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিপদের সংকেত বোঝাতে লাল আলো ব্যবহারের প্রধান কারণ হলো এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি। কিন্তু এই তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিষয়টি ঠিক কী? সহজ ভাষায় বললে, আলো যখন চলে তখন তার গতিপথ ঢেউ বা তরঙ্গের মতো হয়। আলোর ঢেউয়ের একটি মাথা থেকে অন্য মাথার মধ্যে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব থাকে, সেই দূরত্ব বা দৈর্ঘ্য দেখে বোঝা যায় একটা ঢেউ কত লম্বা। আলোর ক্ষেত্রে এই দৈর্ঘ্যকেই বলা হয় আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য।
আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অত্যন্ত ছোট হতে পারে, যেমন এক ন্যানোমিটার (যা এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ)। আবার অনেক লম্বাও হতে পারে, যেমন কয়েক মিটার পর্যন্ত। রামধনুর যে সাতটি রং থাকে তার মধ্যে লাল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, আর বেগুনি ও নীল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম।
তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় অন্য রঙের তুলনায় লাল রঙের আলোকরশ্মি বেশি দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারে। কারণ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় এর বিক্ষেপণ কম হয়। অর্থাৎ, লাল রঙের আলোকরশ্মি যখন বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন এই আলোকরশ্মি অন্যান্য রঙের তুলনায় কম ছড়িয়ে পরে। যেহেতু লাল রঙের আলোকরশ্মি অনেক দূর থেকেও দেখা যায় তাই আবহাওয়া খারাপ থাকলেও অনেক দূর থেকে লাল আলো দেখতে পাওয়া যায়। ফলে কুয়াশা, ধুলোবালি ও বৃষ্টিতেও চোখ এড়িয়ে যায় না লাল আলো। চালক অনেক আগে থেকে সতর্ক হওয়ার সুযোগ পান।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাল আলোর ব্যবহার:
* ট্র্যাফিক সিগন্যাল: লাল আলো গাড়ি থামানোর সংকেত হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
* রেলওয়ে সিগন্যাল: লাল আলো ট্রেন থামানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
* নৌযান: লাল আলো বিপদ সংকেত হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
* অগ্নিনির্বাপণ: আগুন নেভাতে লাল রঙের সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়।
