ঝোল থেকে কষা, পকোড়া, ভাজা, চপ,... রোজ কত ফর্ম বা শেপেই না খাওয়া হয়ে থাকে মুরগির মাংস। কিন্তু কখনও বাড়িতে মুরগির মাংস, বিশেষ করে চিকেন ব্রেস্ট আনার পর একটা জিনিস খেয়াল করেছেন কী? তার গায়ে লেগে থাকা সাদা সুতোর মতো একটা জিনিস? অনেকেই হয়তো খেয়াল করে থাকবেন মাংসের গায়ে সাদা সুতোর মতো কিছু একটা থাকে। কিন্তু এগুলো আসলে কী? কেনই বা থাকে?
মুরগির বুকের দিকের মাংসে থাকা এই সাদা সুতোর মতো জিনিস আদতে দারুণ ক্ষতিকর স্বাস্থ্যের জন্য। তাই এতদিন মাংস ধোয়ার সময় এটা যদি ভাল করে ধুয়ে না ফেলে দিয়ে থাকেন, অজান্তেই বিপদ বাড়িয়েছেন। তবে আর নয়। কেন এটা ফেলা উচিত, কী এই সাদা সুতোর মতো জিনিসগুলো সবটা জেনে নিন।
সাধারণত কাঁচা মুরগির মাংস হালকা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। কিন্তু, ইদানিংকালে মুরগির মাংসে এই সাদা সুতোর মতো জিনিস দেখা যায়। প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, মাংসের গায়ে লেগে থাকা এই সাদা সুতোর মতো জিনিসটি আদতে চর্বি। তবে না, সাধারণ চর্বি নয়। সাধারণ চর্বির থেকে বেশি মাত্রায় ফ্যাট থাকে এতে। কখনও কখনও তাতে ২২৪ শতাংশ বেশি ফ্যাট থাকে। উল্টো দিকে কমছে প্রোটিনের মাত্র। কখনও তা ১০, কখনও ৫ শতাংশ কমে যায়।
গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, বর্তমানে যেভাবে পশুপালন বা পোল্ট্রি শিল্পে মুরগি চাষ করা হচ্ছে বা ব্রিডিং করানো হচ্ছে সেটার পরিণাম হল এগুলো। এই নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে মুরগিগুলোকে স্বাভাবিকের তুলনায় বড় করা হচ্ছে এবং দ্রুত হারে তাদের বৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে। মোদ্দাকথা হাইব্রিড চিকেনের ক্ষেত্রে এই জিনিস দেখা যাচ্ছে। ১৯২৫। সালে যেখানে ১১২ দিন লাগত মার্কেটে বিক্রি করার সাইজে পৌঁছতে, সেখানে এখন মাত্র দেড় মাসেই সেই কাঙ্ক্ষিত সাইজ হয়ে যাচ্ছে মুরগিদের।
মাংসের গায়ে লেগে থাকা এই সুতোর মতো চর্বি খাওয়া উচিত কি না, সেই বিষিয়ে জানানো হয়েছে যে মাংসে যত পরিমাণ এই সাদা সুতোর মতো জিনিসটি থাকবে তার পুষ্টিগুণ তত কম। চর্বিযুক্ত মাংস। স্বাদেও বদল লক্ষ্য করা যায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। গবেষকদের মতে এই সাদা সুতোর মতো মাংসের গায়ে লেগে থাকা চর্বি খেলে মারাত্মক কোনও ক্ষতি হবে না। ফলে খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু এই ধরনের মাংস কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়াতে পারে বেশি মাত্রায় খাওয়া হলে। ফলে বিপদের ঝুঁকি এড়াতে মাংস ধোয়ার সময় এটা ধুয়ে ফেলে দেওয়া ভাল, অথবা ছুরি দিয়ে কেটে ফেলা।
