আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনেকেই মনে করেন যৌন জীবনের ভাল-মন্দ নির্ভর করে পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যের উপর। এমনকী অনেকেই নিজের যৌনাঙ্গের দৈর্ঘ্য নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। এর মূল কারণ যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার অভাব। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় সামাজিক বাধ্যবাধকতার কারণে পুরুষেরা নিজের উদ্বেগ চেপে রাখেন। বলা বাহুল্য এতে উপকার কিছু হয় না। পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য কত? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমেই বলে রাখা ভাল, পুরুষাঙ্গের ‘আদর্শ’ দৈর্ঘ্য বলে কিছু হয় না। বিভিন্ন গবেষণায় পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়। তবে, অধিকাংশ গবেষণাতেই দেখা গিয়েছে যে, সাধারণ অবস্থায় এর দৈর্ঘ্য ৮ থেকে ১০ সেন্টিমিটারের মধ্যে থাকে এবং উত্থিত অবস্থায় দৈর্ঘ্য ১২ থেকে ১৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে অর্থাৎ কম বেশি সাড়ে পাঁচ ইঞ্চির কাছাকাছি। সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানপত্রিকা ‘জার্নাল অব সেক্স অ্যান্ড ম্যারিটাল থেরাপি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাতেও একই তথ্য উঠে এসেছে। এই গড় দৈর্ঘ্য শুধুমাত্র একটি পরিসংখ্যান। এর মানে এই নয় যে, সবার পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য একই হবে। ব্যক্তিভেদে এর মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।
দৈর্ঘ্য নিয়ে উদ্বেগ: অনেক পুরুষই তাদের পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষাঙ্গের আকার সাধারণত যৌন মিলনে কোনও সমস্যা সৃষ্টি করে না। মায়ো ক্লিনিকের একটি প্রতিবেদন বলছে পুরুষের যৌনাঙ্গের দৈর্ঘ্য উত্থিত অবস্থায় ৩.৬৭ ইঞ্চির কম হলে তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘মাইক্রোপেনিস’ বলে। এক মাত্র এই ক্ষেত্রেই যৌন মিলনের সময় সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার পুরুষাঙ্গের আকার নিয়ে কোনও উদ্বেগ থাকে, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
সঙ্গীকে সন্তুষ্ট করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। এছাড়াও, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা উচিত। বহুক্ষেত্রে এই ধরনের অভ্যাস শিথিলতা বা ‘ইরেকটাইল ডিসফাংশন’ ডেকে আনতে পারে। এতে যৌনজীবন আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
