আজকাল ওয়েবডেস্ক: রান্নার স্বাদ বাড়াতে তেল যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই তেলের গুণেই ভাল থাকে স্বাস্থ্য। আসলে তেলের মধ্যে যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্সফ্যাট থাকে, সেই দুটিরই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলার পিছনে হাত থাকে। তবে ইদানীং তেলের ছোঁয়া ছাড়া খাবার সুস্বাদু হয় না, এই ধারণাও বদলে গিয়েছে। আজকাল সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই তেল ছাড়া রান্না করেন। সমাজমাধ্যমে প্রায়ই তেল ছাড়া লুচি, পরোটা থেকে মাংস রান্নার কৌশল চোখে পড়ে। কিন্তু জানেন টানা দু'সপ্তাহ তেল খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীরে কী হয়?
পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়েট থেকে একেবারে তেল বাদ খাওয়া ঠিক নয়। দু'সপ্তাহের জন্য সব রকম তেল বাদ দিলে হজম এবং বিপাকের উপর বেশ কিছু স্বল্পমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে। আসলে তেলে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন এ, ডি, ই, কে শোষণ করে। তাই টানা ১৪ দিন তেল না খেলে পুষ্টির শোষণ ব্যাহত হতে পারে। যার ফলে পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ডায়েট থেকে তেল বাদ দিলে প্রাথমিকভাবে শরীরে ক্যালোরি কম যাবে। ফলে দ্রুত ওজন কমতে পারে। তবে এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, খিদে কমে যাওয়া সহ বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলিকেও ব্যাহত করতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে দৃষ্টিশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর। সঙ্গে শাকসবজি থেকে ক্যারোটিনয়েডের মতো অন্যান্য পুষ্টির শোষণও বাধা পায়।
দুই সপ্তাহের জন্য খাদ্যতালিকা থেকে তেল বাদ দিলে ত্বকের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব পড়ে। ত্বকের হাইড্রেশন কমে শুষ্কতা বেড়ে যায়। বিরূপ প্রভাব পড়ে শরীরের এনার্জির মাত্রায় এবং মেজাজের উপরও। ফ্যাট এনার্জির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তাই তেল খাওয়া ছেড়ে দিলে সহজে ক্লান্তিভাব আসতে পারে। এছাড়াও ফ্যাটের অভাবে ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন হতে থাকে।
