আজকাল ওয়েবডেস্ক: হেঁচকির সঙ্গে কম-বেশি সকলেই পরিচিত। খাওয়ার সময় অতিরিক্ত ঝাল লাগলে, কাশি হলে, গুরুত্বপূর্ণ কাজ কিংবা অফিসে জরুরি মিটিংয়ের মাঝে বা ঘুমের মধ্যেও হেঁচকির কারণে অস্বস্তি পোহাতে হয়। হেঁচকি নিয়ে জীবনে কখনও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়নি, এমন মানুষ বিরল। আপাতদৃষ্টিতে হেঁচকির সমস্যাটিকে খুব সাধারণ মনে হলেও এর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে নানা শারীরবৃত্তীয় কারণ। শরীরের অনেক রোগের সঙ্কেত দেয় হেঁচকি।

কারণ কী হতে পারে

*ফুসফুসের নীচের পাতলা মাংসপেশির স্তর ডায়াফ্রামে হঠাৎ সংকোচনের হলে হেঁচকি ওঠে। অনেক সময় অনেকক্ষণ না খাওয়ার জন্য পাকস্থলীতে হাওয়ার পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে হেঁচকি উঠতে পারে।

*বেশি মশলাদার, ঝাল খেলেও হেঁচকির সমস্যা দেখা যায়।

* কারওর পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিক আলসার অসুখ  কিংবা থাকলে কিংবা লিভারের সমস্যাতেও হেঁচকি উঠতে দেখা যায়।

*প্লীহা বড় হয়ে যায় তাহলেও  হেঁচকির উদ্রেক হয়।  

*কারওর যদি পেরিকার্ডিয়ামে জল জমে বা পেরি কার্ডাইটিস হয় তাহলেও তা হেঁচকির কারণ হতে পারে। 

*অনেক সময় হার্টের বিভিন্ন সমস্যাতেও হেঁচকি উঠতে দেখা যায় । জানলে অবাক হবেন বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের একমাত্র লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় হেঁচকি। তাই আচমকা বুকে ব্যথা কিংবা হেঁচকি উঠলে সাবধান হওয়া জরুরি।

* গলায় কোনও কারণে অস্বস্তি হলেও অনেক সময় হেঁচকি উঠতে পারে। জন্মগত কারণেও বারবার হেঁচকি উঠতে পারে।

*অনেক সময় কিডনির অসুখে বিশেষত ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলেও হেঁচকি উঠতে পারে।

সাধারণত জল খেলে হেঁচকি কমে যায়। কিন্তু না কমলে বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। যেমন-

* আদা খুব তাড়াতাড়ি হেঁচকি কমিয়ে দেবে।
*  লেবুর রসের সঙ্গে আদার কুচি দিয়ে খেতে পারেন। হেঁচকি কমবে নিমেষেই।
* এক টুকরো পাতিলেবু কেটে জিভের উপর রেখে দিন কিছুক্ষণ। তারপর লজেন্সের মতো চুষতে থাকলেই দ্রুত হেঁচকি কমবে।
* আচমকা হেঁচকি উঠলে অল্প মাখন নিয়ে কয়েক মিনিট জিভের উপর দিন। এতেও লাভ হবে।
* হাতের কাছে মাখন না থাকলে চিনি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও হঠাৎ হেঁচকি উঠলে লম্বা শ্বাস নিন।