আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রাচীন যুগ থেকেই ভারতীয়রা বাস্তুশাস্ত্র মেনে চলেন। এখন বাস্তুশাস্ত্র ভারতের সীমা অতিক্রম করে ছড়িয়ে পড়ছে বিদেশেও। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বাড়ির গঠন, বাড়িতে বিভিন্ন বস্তুর অবস্থান, এমনকী ঘর ও আসবাবের রং-ও সংসারের সুখ-শান্তির ওপর প্রভাব ফেলে। তাই ঘর রং করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।


 * শয়নকক্ষ:
   * শোওয়ার ঘরে হালকা রং ব্যবহার করা উচিত। যেমন - হালকা সবুজ, গোলাপী, আকাশী ইত্যাদি।
   * লাল রং শোওয়ার ঘরে ব্যবহার করা উচিত নয়।
   * দম্পতিদের মধ্যে ভালবাসা ও সম্মান বৃদ্ধির জন্য গোলাপী রঙের চাদর ব্যবহার করা যেতে পারে।

 * বসার ঘর:
   * বসার ঘরের জন্য সাদা রং খুবই ভাল।
   * হালকা হলুদ, কমলা বা আকাশী রং-ও ব্যবহার করা যেতে পারে।

 * পূজার ঘর:
   * পূজার ঘরের জন্য হলুদ রং শুভ।
   * পূজার ঘর বাড়ির ঈশান কোণে হওয়া উচিত।
   * পূজার ঘরে লাল রং ব্যবহার করা উচিত নয়।

 * পড়ার ঘর:
   * পড়ার ঘরের জন্য হালকা সবুজ, নীল বা ক্রিম রং ভাল। এতে পড়ুয়ার মনোযোগে উন্নতি হয়।
   * পড়ার ঘর পূর্ব দিকে হওয়া উচিত।

 * রান্নাঘর:
   * রান্নাঘরে সাদা রং ব্যবহার করা যেতে পারে।

 * বাথরুম:
   * বাথরুমের জন্য সাদা বা অন্য কোনও হালকা রং ব্যবহার করা যেতে পারে।
 * মেঝে:
   * বাড়ির উত্তর দিকের মেঝেতে কালো রং করলে আর্থিক উন্নতি হয় এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক বজায় থাকে।


এছাড়াও, বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ঘরের পর্দা ও আসবাবপত্রের রঙেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।


বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, আসবাব এবং পর্দার রং ঘরের পরিবেশের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। 

 * পর্দার রং:
   * ঘরের দরজা ও জানলায় পর্দা ব্যবহার করা শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এটি বাইরের অশুভ শক্তিকে ঘরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
   * পূর্ব দিকের ঘরের জন্য জাফরানি, হলুদ, গোলাপী, হালকা কমলা ইত্যাদি রঙ ব্যবহার করা উচিত।
   * উত্তর দিকের ঘরের জন্য নীল রঙের পর্দা ব্যবহার করুন।
   * দক্ষিণ দিকের ঘরের জন্য লাল বা লালের কোনও শেডের পর্দা ব্যবহার করা উচিত।
   * পশ্চিম দিকের ঘরের জন্য সাদা রঙের পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে।
   * বসার ঘরের পর্দার রং নীল, হলুদ, গোলাপি রঙের রাখা যেতে পারে।
   * শোওয়ার ঘরের পর্দা হালকা রঙের হওয়া উচিত। যেমন- গোলাপী, সাদা, হালকা নীল এবং পিচ।
   * ডাইনিং রুমের পর্দার রং উজ্জ্বল হওয়া উচিত।