আজকাল ওয়েব ডেস্ক: লোকসমাজে মুখ খুলতে ভয় পান কারণ তাদের মাথায় সবসময় একটাই চিন্তা ঘুরপাক খায়, তা হল তাদের মুখের দুর্গন্ধ। সবার সামনে মুখ খুললে কে-কী ভাববে, বা আশেপাশের মানুষ মুখ ঘুরিয়ে চলেও যেতে পারে।এই নিয়ে তাঁরা সদা চিন্তিত থাকেন!আর এমন নেতিবাচক চিন্তা তাঁদের মনোবলের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত হলেই এই সমস্যা তৈরি হয়।আসলে এইসব জীবাণু খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এক ধরনের গন্ধ তৈরি করে। ফলে এমন সমস্যা দেখা দেয়।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিছু কিছু খাবার, যেমন- পেঁয়াজ ও রসুন খেলেও মুখে দুর্গন্ধ হয়।এই ধরনের খাবারে রয়েছে সালফার কম্পাউন্ড। এই উপাদান রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছে যাওয়ায় তারপর তৈরি হয় দুর্গন্ধ।

তাছাড়া অ্যাসিডিটির সমস্যা, ডায়াবিটিস ও রেনাল ফেলিওরের মতো জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে কেও ভুগলে তাদের মুখেও দুর্গন্ধ হতে পারে।প্রসঙ্গত, এই সমস্যা সমাধানে কোনও ওষুধ নয়, বরং কিছু ঘরোয়া টোটকাই কাজে আসে। জেনে নিন এমনই এক উপায়।

এক গ্লাস জলে এক চামচ লবঙ্গ দিন। সঙ্গে দিন দু'চামচ ভিনিগার ও এক চামচ বেকিং সোডা। চামচ দিয়ে ভাল মত মিশিয়ে মিশ্রণটি একঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর মুখে দিয়ে এক মিনিট মতো রেখে কুলকুচি করুন।

লবঙ্গে থাকে অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান।দাঁতের সমস্যায়, ব্যথা দূর করতেও লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়। এতে থাকে ইউজেনল।যা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

বেকিং সোডাতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা মুখের এই দূর্গন্ধের সঙ্গে লড়াই করে। ভিনিগারের উচ্চ মাত্রার সাইট্রিক অ্যাসিড মুখের ভিতরের পিএইচ মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।ফলে মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়তে পারে না এবং দূর্গন্ধ দূর হয়।

সপ্তাহে অন্তত চারদিন এই পদ্ধতিতে কুলকুচি করুন। ম্যাজিকের মতো উধাও হবে মুখের দুর্গন্ধ। তাছাড়া দেহে জলের ঘাটতি হলে লালা উৎপাদন কমে যায়।এই কারণে মুখের অন্দরে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে তাই দুর্গন্ধ হয়।তবে আপনি যদি নিয়মিত তিন থেকে চার লিটার জলপান করতে পারেন, তাহলেই দেখবেন এই সমস্যার সহজ সমাধান হবে।