চোখ সৌন্দর্যের একটি অন্যতম অংশ। যার চোখ যত পটলচেরা, সে ততই সুন্দর। তবে মায়াবী নয়নের চারধারে যদি কালো দাগ পড়ে তাহলে সৌন্দর্যের ব্যাঘাত ঘটে বই কী!। আজকাল অল্প বয়সেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর বয়স বাড়লে তো কথাই নেই। আধুনিক জীবনের চাপে ক্রমশ চোখের ধারে বাড়ছে ডার্ক সার্কল। ইদানীং কাজের চাপ, উদ্বেগ, ঘন ঘন রাত জাগার ফলে বাড়ছে চোখের তলায় কালির পড়ার সমস্যাও। 

ত্বকের রঙের গাঢ়ত্ব নির্ভর করে মেলানিন নামক একটি রঞ্জকের উপর। যার যত বেশি মাত্রায় মেলানিন থাকবে তার ত্বক তত কালচে হবে। চোখ এবং চুলের রং কালো হওয়ার পিছনেও ভূমিকা রয়েছে এই রঞ্জকের। অনেকের চোখের চারপাশে এই রঞ্জক অনেকটা বেশি পরিমাণে জমা হয় তাই সেই নির্দিষ্ট জায়গার ত্বকের রং গাঢ় খয়েরি হয়ে যায়। যা ডার্ক সার্কল হিসাবে দেখা দেয়। যে কোনও বয়সের মানুষের জন্যই এই ডার্ক সার্কল খুব অস্বস্তিকর। যার জন্য নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও অনেক সময় লাভ হয় না। আর তখনই ম্যাজিকের মতো কাজ করে ঘরোয়া টোটকা। এক্ষেত্রে তিনটি জিনিসের মিশ্রণে তৈরি প্যাকের সাহায্যে ডার্ক সার্কেল দূর করতে পারবেন। 

আরও পড়ুনঃ বহু টোটকা ব্যবহার করেও ত্বকের বেহাল দশা? অবহেলায় পড়ে থাকা এই পাতার কামালেই ঠিকরে বেরবে জেল্লা

প্যান এক চামচ হলুদ নিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। হলুদ খানিকটা বাদামি হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে এক চামচ রোস্ট করে হলুদ নিন। তাতে দিন আধ চামচ কফি পাউডার এবং এক চামচ অ্যালোভোরা জেলা। তিনটি জিনিস ভাল করে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি চোখের তলায় খানিকক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিনের মধ্যেই ডার্ক সার্কেল গায়েব হবে। 

অপর্যাপ্ত ঘুম ছাড়া চোখের তলায় কালির পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকে। যেমন অতিরিক্ত মানসিক চাপ, কারও যদি হঠাৎ করে ওজন কমে তবে শরীরের অনেক রকম প্রক্রিয়াগত অসুবিধাও হয়। ফলে ডার্ক সার্কল দেখা দিতে পারে।  এছাড়াও অ্যালার্জিও থেকি কিংবা চোখের অনেকের জন্মগত ডার্ক সার্কলের সমস্যাও থাকে। আবার অনেক সময় শরীরে রক্ত চলাচলের উপরও নির্ভর করে ডার্ক সার্কল।

আরও পড়ুনঃ বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় আশার আলো, এবার সন্তান প্রসব করবে রোবট! কত খরচে কবে থেকে কৃত্রিম গর্ভে মানবশিশুর জন্ম হবে?

এ তো গেল সাধারণ কারণ। আসলে অনিদ্রা বা হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়াটা কিন্তু অনেক রকম গুরুতর রোগের পূর্বাভাস হতে পারে। যেমন হাইপোথাইরয়েডিজম, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিস, রক্তাল্পতা বা ক্যানসার। রক্তাল্পতা হলে ত্বকের কিছু জায়গায় পিগমেন্টেশন বেড়ে যায়। আর কিছু জায়গায় পিগমেন্টেশন কমে গিয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যায়। ফলে চোখের কালি আরও স্পষ্ট বোঝা যায়। এছাড়া চোখে কোনও আঘাত লাগলেও এমন হতে পারে।