আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ আবহাওয়ার হঠাৎ বদল আস্তে আস্তে অনুভব করা যাচ্ছে। ভোরবেলা ও সন্ধের পর হিমেল একটা হাওয়া ও ঠান্ডার অনুভূতি তৈরি হয়েছে। দিনেরবেলা কিন্তু বেশ গরম। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালীপনায় সবথেকে বেশি ক্ষতি হয় ছোট্ট শিশুদের। কাশির সমস্যা সবার প্রথমে হাজির হয়। বিশেষ করে রাতে ঘুমোনোর সময় এক নাগাড়ে শুকনো কাশি আর তার কষ্টে ঘুমোতে না পারার জন্য চলতেই থাকে অবিরাম কান্না।
 শ্বাসনালীতে সংক্রমণ হলে কাশি হতে পারে। কোনও অসুখ থেকে ওঠার পর অনেক সময় কাশির সমস্যা দেখা দেয় শিশুদের মধ্যে। কাশির সঙ্গে শিশুর হাঁচি, গলা ব্যাথা, মায়ের স্তন্যপান করতে না পারলে তাদের গলায় ইনফেকশন হয়েছে ধরে নিতে হবে। কিন্তু বাচ্চারা কোনভাবেই সিরাপ খেতে চায় না। সিরাপের ঝাঁঝালো স্বাদ তাদের ভাল লাগে না।   সাধারণ সর্দি কাশিকে কীভাবে ঘরোয়া টোটকায় সারাবেন, তা দেখে নিন।
এক্ষেত্রে আদাই একমাত্র প্রাকৃতিক উপায়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আদা দিয়ে তৈরি এই ক্যান্ডি কাশি থেকে আরাম দেয় অনেকটাই। বাচ্চাদের এর স্বাদ এতটাই ভাল লাগে যে বারবার চেয়ে খায়।

৫০ গ্ৰাম আদাকে খোসাসহ বেটে মসৃণ করে পেস্ট তৈরি করুন। প্যানে আদা বাটা দিয়ে হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন। রং বদলাতে থাকলে খানিকটা আখের গুড় গুঁড়ো করে দিয়ে দিন। খুব ভাল করে অনেকটা সময় ধরে নাড়াচাড়া করুন। গুড় গলে গেলে ও আদা বাটার সঙ্গে মিশে গেলে এর উপর একে একে হাফ চামচ করে গোলমরিচগুঁড়ো, বিট নুন ও হলুদ দিন। দারুণ একটা সুগন্ধ বেরোলে এক চামচ দেশী ঘি ছড়িয়ে আবার হালকা করে নেড়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। হালকা গরম অবস্থায় বাটার পেপারে ছোট ছোট গোল আকারে অনেক জায়গায় ছড়িয়ে দিন। উপরে চিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। ঠান্ডা হলে একটা করে চকোলেটের আকারে তৈরি হয়ে যাবে এই আদার ক্যান্ডিগুলো।

প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস রয়েছে আদার মধ্যে। ফলে এই উপকরণ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সহজে অসুস্থ হয়ে যাবে না আপনার সন্তান।রোগ-সংক্রমণ, অ্যালার্জি, ঘনঘন সর্দি লেগে যাওয়া বা কাশির সমস্যা থেকে দূরে রাখবে।মরশুম বদলের সময় সর্দি-কাশির সঙ্গে হতে পারে জ্বরও। তার থেকেই মাথা এবং গায়ে-হাতে-পায়ে খুব যন্ত্রণা হতে পারে। শিশুরা ছোট বলে সব কষ্ট মুখে বলতে পারে না। আদা খেলে এইসব সমস্যাও দূর হয়। অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপকরণ থাকার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টও দূর করে।

গায়ের রং নীল হয়ে যাওয়া, গলা দিয়ে কোনও শব্দ বের না হওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে বুঝবেন এটি নিছক সর্দি কাশি নয়। এক্ষেত্রে শিশুটির গলায় সম্ভবত কিছু আটকে আছে। এরকম হলে এক মুহূর্ত দেরি না করে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরি।