আজকাল ওয়েব ডেস্ক: একটু অনিয়ম হতে না হতেই অসুখ জাঁকিয়ে বসছে আপনার শরীর। যে কোনও সময় হানা দিচ্ছে জ্বর, সর্দি কাশি, গলায় ব্যথা বা পেটের সমস্যা।বাইরের খাবার খেতেই পেটখারাপ।এর অন্যতম কারণ হল দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা।রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য দরকার প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেই প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হতে থাকে রোজের কিছু অভ্যাসে।সেই অভ্যাসগুলি ত্যাগ করলে সুস্থ থাকা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।তবে অসুখ তো আর বলে আসে না।
একবার অসুস্থ হয়ে পড়লে শুয়ে থাকা ছাড়া আর গতি নেই।সুতরাং আগেই শরীরকে যত্নে রাখুন।যদি সেই প্রক্রিয়া হয় অভিনব ও নতুনত্ব তবে ব্যবহার করতেও ভাল লাগে।
বরফের কিউব তো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে আসে। কিন্তু হেল্থ ড্রিঙ্কসও কিউবে পেলে কেমন হয়? ভেবে দেখেছেন?তবে জেনে নিন কিভাবে বানাবেন এই হেলথ ড্রিঙ্কস কিউব।
১০০ গ্ৰাম করে কাঁচা হলুদ ও আদাকে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে টুকরো করে কেটে নিন। মিক্সারে দিয়ে দিন। সঙ্গে একটি গোটা পাতিলেবুর রস নিংড়ে দিতে হবে। তিন চামচ গোটা গোলমরিচ দিন। ব্লেন্ড করে নিন সমস্ত উপকরণগুলো।ফ্রিজের আইস ট্রেতে পেষ্ট করা মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ফ্রিজে রাখুন। পরেরদিন থেকে রোজ সকালে ব্রেকফাস্ট সেরে একটি করে কিউব গ্লাসে দিয়ে সঙ্গে ইষৎ উষ্ণ গরম জল দিয়ে খেয়ে নিন।এর তেতো স্বাদ না ভাল লাগলে খাওয়ার সময় এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
কাঁচা হলুদে রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।হলুদের মধ্যে যে কারকিউমিন থাকে তা শরীরকে রোগ মুক্ত রাখে৷ গ্যাস-নিরোধক উপাদান থাকায় নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলগুলিকে নিরপেক্ষ করে। আদা লেমোনেড তৈরি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। আদার রস শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ধমনীতে চর্বি জমতে দেয় না, ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।আবহাওয়া বদলের সময় ও বিশেষ করে ঠান্ডা লেগে যদি সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দেয় তবে ঘরোয়া উপায় হিসেবে গোলমরিচের ব্যবহার করা হয়। শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে গোলমরিচ।প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
