আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শীতকাল মানেই বাজার থেকে একগুচ্ছ ধনেপাতার আগমন বাড়িতে। এটি বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ এনে দেয়। এর অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে।
মাছের ঝোল, ডাল থেকে শুরু করে নিরামিষ তরকারি, সবেতেই তার উপস্থিতি। কিন্তু তার সঙ্গে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই ধনেপাতার চাটনি দু'বেলা খাওয়ার চল শুরু হয়ে গেছে। অনেকেই মনে করেন স্বাদ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি ছাড়া ধনেপাতার অন্য কোনো উপকারিতা নেই। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। শরীরের পক্ষে উপকারী ধনেপাতা।
ধনেপাতার চাটনি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য খান? তবে ভুল হচ্ছে। এই চাটনিকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে কিছু জিনিসের প্রয়োজন। যাতে চাটনি খেলে মনও ভরে, অঢেল পুষ্টিও মিলবে। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এই চাটনি।
বেশ কিছু টাটকা আমলকীকে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। খুব ছোট টুকরো করে কেটে নিন। একটি গোটা রসুনের কোয়াকে খোসা ছাড়িয়ে নিন। ছোট টুকরোতে কেটে নিন। এক আঁটি টাটকা ধনেপাতাকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। ধনেপাতা, রসুন ও আমলকীকে একসঙ্গে ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন এক থেকে দু'চামচ বিট নুন, এক চামচ গোটা জিরে ও এক টুকরো গুড়। ব্লেন্ড করে নিন। এই চাটনি রোজ খেলে শীতকালে ইমিউনিটি বাড়বে চটজলদি। খাবারের স্বাদও বাড়বে দ্বিগুণ।
ধনেপাতা দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ-তে সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় এই পাতা। ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং পটাশিয়াম থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে ধনেপাতা। নিয়মিত ধনেপাতা খেলে ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই ডায়বেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই পাতার চাটনি।
শরীরে পুষ্টি জোগাতে ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক এই উপাদানগুলো। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ধনেপাতা। প্রতিদিন ধনেপাতা খেলে হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে। ফলে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে। দূর করে গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যাও।
