আজকাল ওয়েবডেস্কঃ কথায় বলে, অর্থই হল ইচ্ছা পূরণের চাবিকাঠি। ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন কম-বেশি সকলেই। কিন্তু কতজনেরই বা সেই স্বপ্নপূরণ হয়! আবার মোটা মাইনের চাকরি করেও অনেকের জলের মতো বেরিয়ে যায় টাকা। আসলে বাস্তু মতে, রোজের কিছু অভ্যাস আমাদের অর্থ সঞ্চয়ের পথে বাধা সৃষ্টি করে। আর সেইসব নিয়ম বর্জন করলেই মাসের শেষেও পকেট থাকতে পারে ভারী। রইল তারই হদিশ।
১. দক্ষিণ-পশ্চিম জানালা বা দরজাঃ যদি অর্থ সঞ্চয় করতে সমস্যা হয় তাহলে তার পিছনে আপনার বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাস্তু ভারসাম্যহীনতা থাকতে পারে। বাস্তু অনুসারে, বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি জানালা বা দরজা থাকলে আর্থিক অস্থিরতা দেখা দেয়। এই দিকটি স্থিতিশীলতা এবং ভিত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত।
২. অবিরাম জলের লিকেজ বা অপচয়ঃ কল থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়া, পাইপে ফুটো অথবা জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা ঠিক না থাকলে অর্থাৎ বাড়িতে জলের লিকেজ হওয়াকে বাস্তুশাস্ত্রের একটি প্রধান ত্রুটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাস্তুতে জল সম্পদের প্রতীক। যদি এটি লিকেজ হয় বা কারণ ছাড়াই নষ্ট হয়, তাহলে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বৃদ্ধি করে এবং আর্থিক সম্পদের অবসান হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস।
৩. বিছানায় বসে খাওয়াঃ বাস্তু জীবনযাত্রার অভ্যাসকেও নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন বিছানায় বসে নিয়মিত খাবার খাওয়া সংসারে অভাব ডেকে আনে মনে করা হয়। এই অভ্যাস খাদ্য এবং প্রাচুর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত শক্তি প্রবাহকে ব্যাহত করে, যার ফলে পরিবারে পুষ্টি এবং আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে।
৪. বাথরুমের দরজা খোলা রাখাঃ যদি আপনার বাথরুম শোওয়ার ঘরের ভেতরে থাকে এবং তার দরজা প্রায়ই খোলা থাকে, তাহলে এটি আর্থিক সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ খোলা বাথরুমের দরজা ঘরে নেতিবাচক শক্তি সঞ্চালনের সুযোগ দেয় বলে মনে করা হয়। তাই অর্থনৈতিক চাপ কমাতে ব্যবহার না করার সময় বাথরুমের দরজা সবসময় বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৫. বিছানা পরিষ্কারঃ রোজ সকালে নিয়মিত বিছানা পরিষ্কার করুন। শাস্ত্র বলছে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বিছানা নোংরা রাখা উচিত নয়। পরিষ্কার বিছানা সৌভাগ্যকে ও বাসি বিছানা দুর্ভাগ্যকে আকর্ষণ করে বলে মত শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের।
