আজকাল ওয়েব ডেস্ক: বেশিরভাগ বাড়ির রান্নাঘরে পেঁয়াজেরই আধিপত্য থাকে।বিভিন্ন আমিষের পদ থেকে সবজির স্যালাড, সবেতেই থাকে তার উপস্থিতি। খাবারে স্বাদ আনা ছাড়াও পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপাদান। বাড়তি মেদ ঝরানো থেকে শরীরের টক্সিন বের করে দেওয়ায়, সবেতেই তিনি একাই একশো।
ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ জলে লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার চল বহুদিনের। চিনির বদলে মধুর ব্যবহার করেন প্রায় সব স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। ত্বকের পরিচর্যার পাশাপাশি মধু লিভারের সংক্রমণ হওয়া থেকে আটকায়।

আর পেঁয়াজ ও মধু একসঙ্গে হলে উভয়ের গুণ নানান ধরনের শারীরিক সমস্যার সমাধানে ভীষণ কার্যকরী। পেঁয়াজ ও মধু উভয়ের মধ্যেই রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা রক্ত থেকে সমস্ত টক্সিন বের করে দেয় এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।

একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পেঁয়াজ ও মধুকে একসঙ্গে মিশিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর উপাদান তৈরি করা যায় যা শরীরের মেটাবলিজমকে চনমনে রাখে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। শরীর যে কোনও ধরনের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ে শরীরের। জেনে নিন, কীভাবে তৈরি করবেন এই মিশ্রণ।

প্রথমেই কিছু ছোট আকারের পেঁয়াজ নিন। খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে কেটে টুকরো করুন। যদি পেঁয়াজের আকার খুব ছোট হয় তবে তাদের গোটা বা অর্ধেক আকারেই রাখুন। এরপর একটি কাচের পরিস্কার জার বা বাটিতে কেটে রাখা পেঁয়াজগুলো রাখুন। এর উপরে বেশ কিছুটা মধু ঢালুন। মধুর পরিমাণ ঠিক ততটা হবে যাতে পেঁয়াজগুলো সম্পূর্ণভাবে মধুতে ঢাকা পড়ে যায়। তারপর হালকা ভাবে জারটি নেড়ে পেঁয়াজগুলোর সঙ্গে খুব ভাল করে মধুকে মাখিয়ে নিন। হয়ে গেলে শক্ত করে আটকে দিন জারের মুখ। ভাল স্বাদের জন্য মিশ্রণটি সারা রাত ফ্রিজে অথবা ঘরে রাখতে পারেন।

১)পেঁয়াজের সঙ্গে মধুর এই মিশ্রণটি হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির ঠাণ্ডা লাগা, গলার সংক্রমণ রোধে ভীষণ ভাল কাজ করে। এটি ইনসমনিয়া অর্থাৎ অনিদ্রার সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।

২) পেঁয়াজ ও মধু-দুই’ই শরীরের হজম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। তাই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

৩) ডায়েটে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঢোকে না। ফলে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে এর জুড়ি মেলা ভার।