আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঠান্ডার মরশুমে বাড়ে দূষণের মাত্রা, রাস্তায় বেরোলেই চারিদিক ধুলোয় ধুলো। বছরের এই সময়েই ত্বকের বাড়তি পরিচর্যা দরকার। আসলে শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় ত্বক শুকিয়ে যায়। তাই ত্বকের যত্নের সামান্য অবহেলাতেও সমস্যা বাড়ে। যার জন্য নামী-দামি প্রসাধনী নয়, ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া উপায়ে। তাহলে কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের জৌলুস বাড়াবেন, রইল হদিশ-
শীতে দু'দিন বাদে বাদে অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন। সবসময়ে যে দামি ব্র্যান্ডেড বডি অয়েল দিয়েই যে মাসাজ করতে হবে এমনটা নয়, নারকেল তেল বা সরষের তেল দিয়েও ম্যাসাজ করলেও জেল্লা বাড়বে ত্বকের।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য একটা ঘরোয়া উপায় বলে দিই আপনাদের। পাউরুটি তো বাড়িতে থাকেই। তার চারধারের অংশ দুধে মিশিয়ে সামান্য সুজি তাতে মিশিয়ে নিয়ে হালকা মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলবেন। এতে ত্বক নরম থাকবে এবং মৃতকোষ ঝরে গিয়ে ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে। যাদের ত্বক তেমন স্পর্শকাতর নয় তারা এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
শীতে প্রতিদিনের রূপচর্চায় ত্বককে পরিষ্কার রাখা খুব দরকার। একইসঙ্গে শীতকালে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন করতে হবে স্ক্রাবিং। এতে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হয়ে যায়। ত্বকের মরা কোষ ঝরে গেলে এবং জমে থাকা ময়লা দূর হলে তবেই বজায় থাকবে জৌলুস। স্ক্রাবের জন্য বাড়িতেই মধু, অলিভ অয়েলের মতো হাইড্রেটিং উপকরণ তৈরি করতে পারেন প্যাক। ক্লিনজিং, স্ক্রাবিংয়ের পর টোনিং, সিরাম এবং ময়েশ্চারাইজার লাগানো জরুরি।
শীতের মরশুমে ত্বকে আর্দ্রভাব বজায় রাখা জরুরি। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্রিম, ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। দিনের বেলা বাইরে বেরোলে সানস্ত্রিন লাগাতে ভুললে চলবে না। মধু খুব ভাল ময়েশ্চারাইজার। মুখ ধোয়ার পর টাওয়েল ড্রাই করে হালকা ভিজে অবস্থায় কযেক ফোঁটা মধু লাগিয়ে মিনিট কুড়ি রেখে দিন। তারপর জলের ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে বাড়বে ত্বকের জেল্লা।
রূপচর্চায় দুধের সর ও ময়দা মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক হলে এতে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। ত্বকে ট্যান, কালচে ভাব এলে মিশিয়ে নিন ২/৪ ফোঁটা কাঁচা হলুদের রস। আবার ব্রণ থাকলে দুধের সরের বদলে কাঁচা দুধ, কর্পূর আর তুলসী পাতা বাটা। দশ থেকে কুড়ি মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। এরপর অবশ্যই লাগান ময়শ্চারাইজার।
শীত পড়তে শুরু করলে অনেকেই গরম জলে স্নান করেন। তবে অতিরিক্ত ফুটন্ত জল ত্বকের ক্ষতি করে। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা ও গরম জল মিশিয়ে স্নান করা উচিত।
সঠিক ডায়েট, ঠিকঠাক ঘুমনো, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা, নিয়মিত শরীরচর্চা ইত্যাদির ওপরও ত্বকের স্বাস্থ্য নির্ভর করে।
