আজকাল ওয়েবডেস্ক: রোগ-ব্যাধি সময় বলে-কয়ে আসে না। বেশিরভাগ সময় রোগের জটিল পর্যায়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন রোগী। কিন্তু যে কোনও রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আগে ৬০ বছরের পর যে সব জটিল রোগ থাবা বসাত, এখন ৪০ পেরতে না পেরতেই জাঁকিয়ে বসছে সেইসব অসুখ। তাই নিয়ম করে কয়েকটি পরীক্ষা করা জরুরি। সেক্ষেত্রে শরীরে যদি কোনও সমস্যা থাকেও, তা প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা শুরু করা যাবে।

ডায়াবেটিস- এখন ঘরে ঘরে ডায়াবেটিক রোগী। বাড়িতে কারও ডায়াবেটিস থাকলে তো কথাই নেই, রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। প্রতি বছর অন্তত একবার করে রক্তপরীক্ষা করে জেনে নিন, আপনি ডায়াবেটিক কি না। অনেক সময় আগে থেকে পরীক্ষা করলে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না, তাও ধরা পড়ে যায় তা-ও। 

ক্রিয়েটিনিন টেস্ট- নি:শব্দে শরীরে বাসা বাঁধে কিডনির অসুখ। তাই বছরে একবার হলেও ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষাটাও করিয়ে নেওয়া জরুরি।
কোলেস্টেরল- রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদ্‌রোগের সমস্যা ও স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই বিপদ এড়াতে নিয়ম করে লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করান। 

থাইরয়েড- পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েড হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। ৩০ পেরনোর পর থেকেই থাইরয়েড পরীক্ষা করা জরুরি। 

ক্যানসার স্ক্রিনিং- মহিলাদের স্তন থেকে ডিম্বাশয়, এমনকি জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। তাই এই পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। পুরুষদেরও প্রস্টেট ক্যান্সার সহ অন্যান্য ক্যান্সার নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। 

হাড়ের স্বাস্থ্য- হাঁটুতে ব্যথা, আর্থরাইটিস, গাঁটে গাঁটে ব্যথা— এই ধরনের সমস্যার কারণ বুঝতে হাড়ে ঘনত্ব পরীক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে শরীরে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামের মাত্রা, ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করানো জরুরি। 

চোখের পরীক্ষা- যন্ত্র-বয়স বাড়লে তো চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি মাত্রায় সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তাই বয়স যদি ৩০ পেরিয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে চোখের পরীক্ষা করা জরুরি। পাওয়ার বেড়েছে কি না, চশমা নিতে হবে কি না, সে ব্যাপারেও চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন।