আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীত শুধু কনকনে ঠান্ডা আর লেপের উষ্ণতাই নিয়ে আসে না, সঙ্গে আনে পিঠে-পুলি থেকে কেক সহ নানা সুস্বাদু খাবারের ভান্ডার। ঠান্ডার মরশুমে বিয়ে, অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণও থাকে বেশি। ফলে খাওয়াদাওয়া হয় দেদার। তাই প্রচলিত ধারণা রয়েছে, শীতকালে ওজন কমানো খুব কঠিন। আবার সোয়েটার-জ্যাকেটের পিছনে মেদ লুকানোর সুযোগও পেয়ে যান অনেকে। তবে জানেন কি একটু সচেতন হলে শীতকালেও ওজন কমানো সম্ভব।
শুধু ওজন কমানো নয়, শীতকালে রোগ বালাই লেগেই থাকে। এককথায় ঠান্ডায় শরীরকে সুস্থ রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এই সময়ে ডায়েটের উপর বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে খাদ্যাতালিকা থেকে বেশ কিছু খাবার বাদ দিলেই যেমন ঝরবে বাড়তি মেদ, তেমনই বজায় থাকবে সুস্থতা। জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে-
শীতের বিয়ে বাড়ি হোক পার্টি কিংবা পিকনিক, ছাঁকা তেলে ভাজা স্ন্যাকস খাওয়ার ঝোঁক দেখা যায়। এতে কোলেস্টেরল বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ে৷ যা থেকে হার্টের উপর প্রভাব পড়ে। একইসঙ্গে বাড়ে ওবেসিটির ঝুঁকিও।
শীতকালে অনেকেরই ঘন ঘন চা-কফিতে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস থাকে। বিশেষ করে কফি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। কিন্তু অত্যাধিক কফি খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন। যা শরীরকে ডিহাইটেড করতে পারে। শীতকালে এমনিতেই জল খাওয়া কম হয়। ফলে বেশি কফি খেকে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
শীতে যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে বেশি পরিমাণে নুন ও তেল থাকে। যা খাবারের পুষ্টিগুণ যেমন নষ্ট করে দেয়, তেমনই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শীতকালে কোল্ড ড্রিঙ্কস সহ কোনও রকম ঠান্ডা পানীয় খাওয়া উচিত নয়। এতে চিনির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে। যা থেকে ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
কেক, পিঠে, গুড়ের পায়েস- এই সব মিষ্টি খাবার শীতকালে দেদার খাওয়া হয়। যার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গেই থাকে ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি। তাই শীতের এই সব খাবার খেলে পরিমাণে অল্প খান।
