আজকাল ওয়েব ডেস্ক: 'জল'ই জীবন। প্রখর গরমের তাপে গলা শুকিয়ে গেলে তা বেশ টের পাওয়া যায়। এক ফোঁটা জল গলায় ঢেলে তবেই তৃষ্ণা মেটে। এককথায় জল ছাড়া জীবন অচল। কিছু সময় আমরা জলের পরিবর্তে অন্য অনেক ধরনের স্বাস্থ্যকর পানীয়ের উপর ভরসা রাখি সেই তালিকায় রয়েছে কচি ডাবের মিষ্টি জল, লেবুর জল এবং আরও অনেক পানীয়। এই পানীয়গুলিতে উপস্থিত সঠিক স্বাস্থ্য উপাদান সম্পর্কে না জেনেই আমরা পান করি। তাহলে জেনে নিন, কয়েকটি পানীয়র বিষয়ে ।

ডাবের জল: গরমের দুপুরে মাঝ রাস্তায় গলা ভেজাতে রাস্তার ধারের ডাবের জলই ভরসা। তবে কচি ডাবের মিষ্টি জল শুধু তেষ্টা মেটায় না, শরীরেরও খেয়াল রাখে। এতে উপস্থিত ইলেক্ট্রোলাইট শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে জলের অভাব হয় না। পেট ফাঁপা,পেটের অস্বস্তিতে ডাবের জল ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে এনজাইম যা খাবার হজম করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ডাবের জলে থাকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ রয়েছে । অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর ক্লান্ত শরীরকে চাঙ্গা করতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই পানীয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ডাবের জল খুব উপকারী। টানা পনেরো দিন নিজের ডায়েটে রাখুন এই পানীয়। তফাৎ নিজেই বুঝতে পারবেন। ডাবের জলে কোনও ফ্যাট নেই। ফলে ওজন বৃদ্ধির কোনও চিন্তাও নেই। যারা ওজন নিয়ে সচেতন, খাবার খুব মেপে খান, তাঁরা এই পানীয় নিশ্চিন্ত মনে খেতেই পারেন এবং পেটও ঠান্ডা রাখে।

লেবুর জল: কাঠ ফাটা রোদ থেকে বাড়িতে ফিরেই এক গ্লাস লেবুর জল খেলে প্রাণটা যেন জুড়িয়ে দেয়। এই পানীয়তে উপস্থিত প্রাকৃতিক অ্যাসিড শরীরের মেটাবলিজমকে বাড়ায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভিটামিন সি এর খনি এই পানীয় রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ঘাম ঝরাচ্ছেন, তাঁদের জন্য দারুণ উপকারী লেবুর জল। এক গ্লাস লেবুর জল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরায়।

আদার জল-আদার সঙ্গে লেবু গ্ৰাইন্ডারে দিয়ে ভাল মতো ব্লেন্ড করে নিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। তার মধ্যে মধু মিশিয়ে তৈরি হয় আদার জল। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের যে কোনও রকম সংক্রমণকে দূরে রাখে এবং ত্বক হয় উজ্জ্বল। আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াত। আদার জল হজম সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। বমি ভাব,পেট ফাঁপা ও বদহজমকে কড়া ভাবে দমন করে।তবে আপনার ডায়েটে এই ধরনের পানীয় শুরু করার আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।