বিয়ের মরশুম এলেই শুধু বিয়ের মণ্ডল সাজানো নয়, বাড়িতেও শুরু হয় ব্যস্ততা। এখন অনেকেই বাড়িতেই বিয়ে বা প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। তাই অতিথিদের থাকার ঘরগুলো সুন্দরভাবে সাজানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এতে যেমন অতিথিরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তেমনই বিয়ে বাড়ির সৌন্দর্য ও আয়োজনের পরিপাটি ভাবও চোখে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামান্য কিছু স্টাইলিং পরিবর্তনেই অতিথিকক্ষ হয়ে উঠতে পারে একেবারে ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল হোটেলের মতো। 


১. দেওয়ালের রং ও ওয়ালপেপারঃ অতিথিকক্ষ সুন্দর দেখাতে দেওয়ালের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হালকা রং যেমন ক্রিম, বেজ, প্যাস্টেল ব্লু বা সেজ গ্রীন ঘরকে করে তোলে উজ্জ্বল ও আরামদায়ক। যদি রং বদলানো কঠিন হয়, তাহলে ব্যবহার করতে পারেন রিমুভেবল ওয়ালপেপার। এটি লাগানো ও খুলে নেওয়া দুটোই সহজ এবং ঘরের লুক মুহূর্তেই বদলে দেয়। রং বাছার সময় ঘরের আলো দিন ও রাতে-দুটোই মাথায় রাখতে হবে।

 

২. হালকা আলোর ব্যবহারঃ অতিথিকক্ষকে আমন্ত্রণমূলক করে তুলতে আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই খুব তীব্র সাদা আলো না রেখে হালকা, উষ্ণ আলো ব্যবহার করা ভাল। টেবিল ল্যাম্প, ওয়াল লাইট বা ফেয়ারি লাইট-লেয়ার্ড লাইটিং ব্যবহারে ঘর আরও স্নিগ্ধ লাগে। চাইলে স্মার্ট লাইটিং ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে এক ক্লিকেই ঘরের মুড পরিবর্তন করা যায়।


৩. আসবাবপত্রের সঠিক বিন্যাসঃ বিয়ে বাড়ির ভিড় সামাল দিতে ঘরে অতিরিক্ত আসবাব থাকলে জায়গা কমে যায়। তাই অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে দিয়ে নূন্যতম ফার্নিচার রাখাই ভাল। একটি আরামদায়ক বিছানা, দু’টি চেয়ার, ছোট টেবিল-এগুলোই যথেষ্ট। পাশাপাশি ঘরের চলাচলের পথটি খোলা রাখতে হবে যেন অতিথিরা সহজে নড়াচড়া করতে পারেন।


৪. ব্যালকনি সাজানঃ আপনার অতিথিকক্ষে যদি ব্যালকনি থাকে তাহলে সেটিকে ছোট একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করা যায়। কয়েকটি গাছ, ছোট লাইটিং, আরামদায়ক চেয়ার—সব মিলিয়ে একটি রিলাক্সিং কর্নার তৈরি হয়ে যাবে। এতে অতিথিরা সময় কাটাতে আরও স্বস্তি পাবেন।

 

৫. অতিথিদের সুবিধার জিনিস প্রস্তুত রাখাঃ অতিথিকক্ষের বাথরুম বা ড্রেসিং-এর জায়গা পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। তোয়ালে, শৌচাগারের জিনিসপত্র, জলের বালতি- এই ধরনের জিনিস আগে থেকে সাজিয়ে রাখলে অতিথিদের ভাল লাগবে। চাইলে সুগন্ধি মোমবাতি বা এয়ার ফ্রেশনারও ব্যবহার করা যেতে পারে।