আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওজন কমাতে হলে উপোস থাকার প্রয়োজন নেই। বরং নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। তবেই ঝরবে বাড়তি মেদ। কিন্তু সারাদিন ঠিকঠাক চললেও রাতের খাবারে অনেক সময়েই অনিয়ম হয়ে যায়। আসলে সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পর আর রান্নাঘরে যেতে মন চায় না! অগত্যা ভরসা বাইরের খাবার। আর তখনই ডায়েটের বারোটা বেজে যায়। তাহলে ডিনারে ঝটপট তৈরি হয়ে যায় এমন খাবার রাখাই শ্রেয়। তাহলে ওজন কমাতে রাতে কোন কোন খাবার বানাতে পারেন? জেনে নিন। 

খিচুড়ি- খিচুড়ি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে এই খাবার। রাতে মাঝেমাঝেই খিচুড়ি খেতে পারেন। সবসময় ডাল-চাল দিয়ে ভাল না লাগলেও ডালিয়ার খিচুড়িও বানাতে পারে। ডালিয়া খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার।

পালং পনির- টম্যাটো, পেঁয়াজ এবং পালং শাকের মিশ্রণ এমনিতে স্বাস্থ্যকর। এই তিন উপকরণ দিয়ে কোনও এক দিন বানিয়ে নিতে পারেন পালং পনির। তবে ক্যালোরির পরিমাণ কমাতে চাইলে ফ্যাট কম এমন পনির ব্যবহার করতে হবে। সঙ্গে আটার কিংবা ওটসের রুটি হলে জমে যাবে।

কিনোয়া পোলাও- আজকাল ফাইবারে সমৃদ্ধ কিনোয়া ভাত বা রুটির বিকল্প হিসাবে বেশ জনপ্রিয়। কিনোয়া সেদ্ধ করে বিভিন্ন সবজি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পোলাও। চাইলে ডিম অথবা চিকেনও যোগ করতে পারেন।

ব্রাউন রাইস বিরিয়ানি- ওজন কমাতে দোকানের বিরিয়ানিকে ব্রাত্য করলে বাড়িতে ব্রাউন রাইসের বিরিয়ানির স্বাদ নিতেই পারেন। সঙ্গে প্রোটিনের উৎস হিসাবে দিন মুরগি মাংস বা সয়াবিন, পনির রাখুন।

চিকেন স্যালাড- ফ্রেশ চিকেন দিয়ে যদি এই স্যলাডটা করেন  তাহলে তো খেতে অবশ্যই ভাল লাগবে প্রথমে চিকেনটাকে জলে দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। বেশি সেদ্ধ করবেন না কারণ এই চিকেনটা আবার কিছুক্ষণ বেক করতে হবে। সেদ্ধ করার সময় তাতে দুটো পেঁয়াজের টুকরো, কয়েক কোয়া রসুন, নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে দিন। ইচ্ছে হলে কিছুটা স্প্রিং অনিওনও দিতে পারেন।