আজকাল ওয়েবডেস্ক: এখন আর বিষন্নতা কিংবা অবসাদকে আর বড়লোকের অসুখ বলেন না কেউ। কারণ দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা ও প্রতিযোগিতার ইঁদুরদৌড়ে মানসিক চাপ যে এক নিত্যসঙ্গী একথা প্রায় সকলেই বুঝতে পারছেন। এই চাপ থেকে মুক্তি পেতে সৃজনশীল শখ বা হবি থেরাপির মতো কাজ করতে পারে। ছবি আঁকা, লেখালেখি, গানবাজনা, বাগান করা বা যেকোনও ধরনের হস্তশিল্প মনের খোরাক জোগানোর পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়। সৃজনশীল কাজে মনোযোগ দিলে মস্তিষ্ক দৈনন্দিন উদ্বেগ থেকে সাময়িকভাবে মুক্তি পায়। এটি অনেকটা মেডিটেশনের মতো কাজ করে, যা মনকে শান্ত ও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।

সৃজনশীল শখের উপকারিতা কী কী?
 * মনোযোগ বৃদ্ধি: কোনও একটি নির্দিষ্ট সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করলে তা আমাদের ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করে।
 * আত্মপ্রকাশের মাধ্যম: শিল্পকলার মাধ্যমে নিজের অনুভূতি ও ভাবনা প্রকাশ করা যায়, যা অনেক সময় মানসিক ভার লাঘব করে।
 * স্ট্রেস হরমোন হ্রাস: গবেষণায় দেখা গেছে, সৃজনশীল কাজে যুক্ত থাকলে কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে।
 * আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: নতুন কিছু সৃষ্টি করার আনন্দ এবং নিজের দক্ষতার উপর আস্থা জন্মায়, যা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
 * মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি: সৃজনশীলতা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে উদ্দীপিত করে, যা স্মৃতিশক্তি ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
কীভাবে শুরু করবেন?
আপনার আগ্রহ অনুযায়ী যেকোনও শখ বেছে নিতে পারেন। ছবি আঁকার জন্য রং-তুলি, লেখালেখির জন্য খাতা-কলম, অথবা বাগান করার জন্য সামান্য সরঞ্জামই যথেষ্ট। নিয়মিত কিছুটা সময় এই শখের পিছনে ব্যয় করলে তার ইতিবাচক প্রভাব স্পষ্টভাবে অনুভব করা যায়। মানসিক সুস্থতার জন্য সৃজনশীল শখের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি কেবল অবসর কাটানোর উপায় নয়, বরং মানসিক চাপমুক্ত ও আনন্দময় জীবনযাপনের একটি কার্যকরী মাধ্যম।