আজকাল ওয়েবডেস্ক: সরকারি বেসরকারি কর্মচারী থেকে নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, যাঁরা বাইরে কাজ করেন দিনের একটা বড় অংশ দাঁড়িয়ে কাটাতে হয় তাঁদের। কেউ অফিসে, কেউ স্কুলে, কেউ বা দোকানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই ধরে যায় কোমর। অনেক সময় শক্ত জুতো পরা বা অতিরিক্ত হাঁটাচলার কারণেও পায়ে ব্যথা, ক্লান্তি, এমনকি গোড়ালির টান পর্যন্ত দেখা যায়। আর একবার ব্যথা শুরু হলে যেন যেতেই চায় না। অথচ জানেন কি এই সমস্যার একটি অতি সহজ এবং কার্যকর সমাধান রয়েছে হাতের কাছেই। খরচও নামমাত্র। বিস্ময়কর সেই জিনিসটি অতি সাধারণ ক্যাম্বিসের টেনিস বল!
আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে
আরও পড়ুন: ৮৫ বছর বয়সে মাধ্যমিকে বসেও ফের অকৃতকার্য! ইনিই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক স্কুলছাত্র

কীভাবে ব্যবহার করবেন?
১. একটি আরামদায়ক চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন।
২. খালি পায়ের তলায় টেনিস বলটি রাখুন।
৩. এবার বলটিকে পায়ের আঙুল থেকে গোড়ালি পর্যন্ত ধীরে ধীরে সামনে-পেছনে চাপ দিয়ে গড়িয়ে নিন। চাপ যেন হালকা থেকে মাঝারি হয়।
৪. কোনও অংশে বেশি টান বা ব্যথা থাকলে, সেখানে বলটিকে ৩০ সেকেন্ড রেখে হালকা চাপ দিন।
৫. প্রতিটি পায়ের তলায় বল রেখে ১-২ মিনিট করে মালিশ করুন। ঘুম থেকে উঠে বা রাতে শোওয়ার আগে করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন।
৬. আরও একটু বেশি চাপ দিতে চাইলে চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে এই অনুশীলন করতে পারেন। তবে শুরুতে বসে করাই ভাল।
কেন টেনিস বল এত কার্যকর?
১. ব্যথা কমায়
যাঁদের প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস আছে বা যাঁদের হাঁটতে গেলে পায়ের তলার টিস্যুতে টান পড়ে, তাঁদের জন্য এই কৌশল খুবই উপকারী। গোড়ালির ব্যথা বা হাঁটার ক্লান্তি থেকেও মুক্তি দিতে পারে এটি।
২. পিঠের ব্যথা কমায়
প্রথমে শুনলে বিশ্বাস হবে না, কিন্তু পায়ের পেশী যদি চাপমুক্ত থাকে, তাহলে শরীরের সার্বিক ভঙ্গিমা ভাল থাকে। ফলে পরোক্ষভাবে পিঠের ব্যথাও কমে যেতে পারে।
৩. রক্ত চলাচল বাড়ায়
টেনিস বলের হালকা চাপ পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এতে পেশীতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছয়। ফলে অভ্যন্তরীণ কোনও পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে সেই অংশও দ্রুত সারে।
৪. পা আরও নমনীয় হয়
যাঁদের হাঁটতে বা পা ঘোরাতে সমস্যা হয়, তাঁদের জন্য এই বল ম্যাসাজ পায়ের নমনীয়তা বাড়ায়। ফলে চলাফেরা হয় সহজ, স্বচ্ছন্দ।