আজকাল ওয়েব ডেস্ক: 'মন খারাপ হলে কুয়াশা হয়, ব্যাকুল হলে...' গানে-কবিতায় মন খারাপ নিয়ে নানা কথাই বারবার উঠে এসেছে। অনেকেই উনিশ থেকে বিশ হলে রোজকার জীবনে ঘটে যাওয়া সামান্য বিষয় নিয়েও দুশ্চিন্তা করেন। নষ্ট হয়ে যায় রাতের পর রাত ঘুম। কিন্তু সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকলে যে শরীরে কতটা প্রভাব পড়ে তা কখনও ভেবে দেখেছেন? নাকি কফি-কাব্যেই এই ভাবনাকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন! 

অত্যাধিক দুশ্চিন্তা শরীরের বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এমনকী মারণ রোগ ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধিতেও স্ট্রেসের বড় ভূমিকা রয়েছে৷ তবে জানেন কি স্ট্রেস শুধু মানসিক চাপ বাড়ায় না, আপনার মুখের আকৃতিও বদলে দিতে পারে। হ্যাঁ, দীর্ঘদিন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে থাকলে বদলে যেতে পারে আপনার মুখ। কেবল রাতের চিন্তাই মুখে ছাপ ফেলে না, সারাদিন যদি অবচেতন মনে চিন্তা করতে থাকেন, তার প্রভাব পড়ে মুখের ত্বকে, আকৃতিতে। 

আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় 'কর্টিসল ফেস' শব্দটি বেশ ট্রেন্ডিং। যেখানে অনেক ইনফ্লুয়েন্সাররা অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন যে কীভাবে তাঁরা স্ট্রেস কমিয়ে নিজেদের মুখ একেবারে বদলে দিয়েছেন।

 মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে, এমন হরমোন হল কর্টিসল। শরীরে এই হরমোনের ক্ষরণ বেশি হলেই গালে ফ্যাট জমতে থাকে, যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় 'মুন ফেস' বলে। যদিও অন্যান্য শারীরিক কারণেও মুখে ফ্যাট জমতে পারে। তবে কর্টিসল যে ত্বকের ক্ষতি করে তা বলাই বাহুল্য।

অযাচিত দুশ্চিন্তার জন্য আপনার 'লুক' বদলে যাক তা নিশ্চয়ই চান না। তাহলে স্ট্রেসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। শরীর চর্চা এন্ডোমরফিন হরমোন ক্ষরণ বাড়ে, যাকে হ্যাপি হরমোনও বলা হয়। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন ৭-৮ ঘুমানোর চেষ্টা করুন। মেডিটেশন অভ্যাস করুন। আর খুব বেশি দুশ্চিন্তায় মন খারাপ থাকলে পরিবার-পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।