আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্ষা এলেই বাঙালির থালায় বাড়ে মাছের বাহার। বাজারে ইলিশের পাশাপাশি পাওয়া যায় আরও নানা প্রজাতির মাছ। কিন্তু মাছপ্রেমীদের জন্য এবার এল এক গুরুতর সতর্কবার্তা— ভুল মাছ বেছে নিলে খেসারত দিতে হতে পারে প্রাণের ঝুঁকিতে! আলিগড় মৎস্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডঃ প্রিয়াঙ্কা আর্য জানাচ্ছেন, ভারতের নিষিদ্ধ মাছের তালিকায় সবচেয়ে বিপজ্জনক মাছটির নাম— থাই মাগুর। এই বিদেশি মাছ শুধুই নয় স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে পরিবেশের উপরও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, থাই মাগুর খেলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ। কারণ? এই মাছ খায় পচা গলা মাংস, প্রাণীর মৃতদেহ, নোংরা জৈব বর্জ্য— যা পরে তার দেহে জমিয়ে তোলে বিষাক্ত উপাদান। আর সেই বিষ শরীরের কোষে ছড়িয়ে পড়ে ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনে। ২০০০ সালে জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনাল (NGT) ভারতে এই মাছের চাষ নিষিদ্ধ করে। তারপরও বহু অঞ্চলে গোপনে চলে এই মাছের ব্যবসা ও চাষ। ডঃ প্রিয়াঙ্কা স্পষ্ট করে বলেন, “থাই মাগুর কেবল শরীর নয়, ধ্বংস করছে দেশের জলজ বাস্তুতন্ত্রও। স্থানীয় মাছের প্রায় ৭০ শতাংশ প্রজাতি হারিয়ে যেতে বসেছে এই এক মাছের আগ্রাসনে।”
আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য— একাধিক চাষি এই মাংসাশী মাছকে খাওয়াচ্ছে পচা মাংস ও পালং শাক মিশিয়ে, যার ফলে জলাশয়ে বাড়ছে দূষণ, ছড়িয়ে পড়ছে রোগজীবাণু। সরকার ইতিমধ্যেই এই মাছের চাষ, বিক্রি ও খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু প্রচারের অভাবে অনেকেই জানেন না এই নিষিদ্ধ প্রাণীর ভয়াবহতা। তাই মৎস্য দপ্তর এখন জনসচেতনতা বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে।
বিশেষজ্ঞদের কড়া বার্তা— বাজার থেকে মাছ কিনবেন ঠিকই, কিন্তু থাই মাগুর নাম শুনলেই পিছিয়ে আসুন। ভুল এক পছন্দ থেকে শরীরে ঢুকে যেতে পারে মারণ ছায়া। মাছপ্রেম যেন প্রাণঘাতী না হয়ে ওঠে।
