আজকাল ওয়েবডেস্ক: শহর হোক বা মফস্সল, দূষণের কালো হাত থেকে নিস্তার নেই কোথাও। এমনকী নিরাপদ নয় ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে থাকা বাতাসও। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ গাছ রাখা শুধুমাত্র অন্দরসজ্জার অঙ্গ নয়, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনশৈলীর পরিচায়কও বটে। এই গাছগুলির সবুজ প্রহরীর মতো নীরবে আমাদের চারপাশের বাতাসকে দূষণমুক্ত করে এবং ঘরের ভিতরে নির্মল শ্বাসপ্রশ্বাসের পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করে।
১. স্নেক প্ল্যান্ট: বায়ুর গুণমান বৃদ্ধিতে নিঃশব্দ সৈনিক এই গাছটি। স্নেক প্ল্যান্ট বাতাস পরিষ্কার করার ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। এই গাছ ফর্মালডিহাইড, জাইলিন, বেনজিন, টলুইন এবং নাইট্রোজেন অক্সাইডের মতো বিষাক্ত রাসায়নিক শোষণ করে ঘরের বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, এটি রাতের বেলাতেও কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে অক্সিজেন নির্গত করে, যা সাধারণত অন্যান্য গাছ দিনের আলোতে করে থাকে। ফলে শোবার ঘরে রাখার জন্য এটি একটি আদর্শ উদ্ভিদ।
২. পিস লিলি: নয়নাভিরাম রূপে বিষমুক্তির আশ্বাস দেয় পিস লিলি। সাদা ফুলের শোভা এবং চকচকে সবুজ পাতার পিস লিলি ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বায়ুর গুণমান উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নাসা-র ‘ক্লিন এয়ার স্টাডি’ অনুযায়ী, এই গাছ বেনজিন, ফর্মালডিহাইড, ট্রাইক্লোরোইথিলিন, জাইলিন এবং অ্যামোনিয়ার মতো ক্ষতিকারক পদার্থ বাতাস থেকে দূর করতে সক্ষম। তবে এই গাছের পাতা বা ফুল পোষ্যদের জন্য সামান্য বিষাক্ত, তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
৩. মানি প্ল্যান্ট: এখন বহু বাঙালি বাড়িতেই এই লতানো গাছটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মানি প্ল্যান্ট বা পোথোস কেবল সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেই পরিচিত নয়, এটি ঘরের বাতাস থেকে বিষাক্ত গ্যাস শুষে নিতেও অত্যন্ত দক্ষ। এই গাছ খুব সহজেই বেড়ে ওঠে এবং এর বিশেষ কোনও যত্নের প্রয়োজন হয় না। ঘরের বিভিন্ন কোণে, টেবিলের উপর অথবা ঝুলন্ত টবে মানি প্ল্যান্ট রাখলে তা যেমন নান্দনিকতার ছোঁয়া আনে, তেমনই বাতাসকেও করে তোলে স্বাস্থ্যকর।
