চোখের নীচে ডার্ক সার্কল বা কালো দাগ এমনই এক সমস্যা যা সহজে দূর হতে চায় না। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, সঠিক সময়ে না ঘুমনো, অ্যালার্জি, হাইপারপিগমেন্টেশন, চোখের চারপাশের ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত চোখ ঘষা, বার্ধক্য, ধূমপান এবং জেনেটিক্সের মতো কারণে কালো দাগ দেখা দিতে পারে। এগুলির জন্য এই কালো দাগ কমাতে বাজারে অনেক ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলি খুব বেশি কার্যকর হয় না। তবে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার এই কালো দাগ দূর করতে কার্যকর প্রমাণিত। সেগুলি কী কী জেনে নিন।

আলুর রসের ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। আলুর রস ডার্ক সার্কলের উপর সরাসরি লাগানো যেতে পারে। এর জন্য আলু কুঁচি করে ছেঁকে নিন এবং তারপর তুলোর সাহায্যে সেই রস চোখের চারপাশে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে এর প্রভাব কয়েকদিন দেখা যাবে। আপনি চাইলে আলুর রসে লেবুর রস মিশিয়েও লাগাতে পারেন। 

ত্বকের শুষ্কতার কারণে যদি ডার্ক সার্কল হয়, তাহলে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। নারকেল তেলের স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে হাইড্রেশন প্রদান করে এবং ত্বকের কালচে ভাবও কমায়। প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে ডার্ক সার্কলের উপর নারকেল তেল লাগানো যেতে পারে। 

মধু এবং কফি একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি কালো দাগের উপর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য লাগান এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, যখন আপনি এই কফি পেস্টটি চোখ থেকে ধুয়ে ফেলবেন, তখন এটি ঘষবেন না। চোখের চারপাশের ত্বক পাতলা, তাই এই পেস্টটি সাবধানে ধুয়ে ফেলা প্রয়োজন।

হলুদের ঔষধি গুণ ত্বক থেকে ট্যানিং, ময়লা এবং মৃত ত্বকের কোষ দূর করতে কাজ করে। এমন পরিস্থিতিতে, কালো দাগের উপরও হলুদ লাগানো যেতে পারে। ত্বকে যাতে হলদেটে ভাব না আসে সেই জন্য হলুদের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে তুলো দিয়ে কালো দাগের উপর লাগান। ১৫ মিনিট পর সেটি ধুয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে লাগানো যেতে পারে। এটি শুধুও লাগাতে পারেন অথবা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ডার্ক সার্কলের উপর লাগাতে পারেন। এটি ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে এবং ডার্ক সার্কলের সমস্যা দূর করে। এই রেসিপিটি ডার্ক সার্কেল হালকা করতে কার্যকর। 

দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ডি এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান থাকে, যা ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং ভিতর থেকে মেরামত করে। ঠান্ডা দুধ চোখের নিচে লাগালে এটি কেবল শীতল অনুভূতিই দেয় না, বরং ধীরে ধীরে ফোলাভাব এবং কালো ভাবও কমায়। এতে উপস্থিত প্রোটিন ত্বককে টোন করে। নরম এবং চকচকে করে তোলে।

ডার্ক সার্কল দূর করার পাশাপাশি যদি জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনেন যেমন, পর্যাপ্ত ঘুম, বেশি জল পান করা, স্ক্রিন টাইম কমানো,তাহলে এর প্রভাব আরও দ্রুত দেখা যাবে। সুস্থ ত্বক কেবল বাইরের জিনিস ব্যবহার করে আসে না। ভিতর থেকেও যত্ন নিতে হবে।