আজকাল ওয়েবডেস্কঃ হিন্দু ধর্মে মূর্তি পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আরাধ্য দেবদেবীর রূপ কল্পনা করে সেই মতো মূর্তি গড়ে পুজো করা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনই কিছু দেবদেবীর একসঙ্গে পুজো করারও রীতি রয়েছে। যেমন শনিদেবের সঙ্গে কালীপুজোর নিয়ম পালন করা হয়। যার জন্য শনি মন্দিরে থাকে দেবী কালীর মূর্তি। কিন্তু জানেন এর আসল কারণ কী?
হিন্দু ধর্ম মতে, শনি একজন রাগী দেবতা। তাই তাঁর উপাসনায় যে কোনও ভুলে অশুভ ফল হতে পারে। যা প্রতিহত করার জন্য শনিদেবের সঙ্গে দক্ষিণা কালী পুজো করা হয়। ভক্তকে রক্ষা করতে পারেন দেবী কালী। মূলত পুরাণ, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং লোকবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে শনি মন্দিরে দক্ষিণা কালী পূজা করা হয়। জীবনের সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট, ভয় এবং অমঙ্গল দূর করে সাফল্য এবং শান্তি লাভ করাই শনি মন্দিরে দক্ষিণা কালী পূজা করার মূল উদ্দেশ্য হল।
*শোনা যায়, শনি দেব এবং দেবী কালীর মধ্যে একটি আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। শনি দেব কার্মিক ন্যায়ের প্রতীক এবং কালী দেবী সময়, ধ্বংস ও পুনর্জন্মের শক্তি। এই দুই দেবতার মিলন শাস্ত্র অনুযায়ী অশুভ প্রভাব দূর করে শুভ ফল প্রদান করে।
*কথিত রয়েছে, দক্ষিণা কালী রূপে দেবী অশুভ শক্তিকে দমন করেন। শনি গ্রহের অশুভ প্রভাব, যেমন শনির সাড়ে সাতি বা শনির মহাদশা, কাটিয়ে উঠতে দক্ষিণা কালীর পূজা অত্যন্ত কার্যকর বলে বিশ্বাস করা হয়।
*শনি দেবকে "ক্রুর গ্রহ" বলা হয়। তাঁর কুদৃষ্টি কাটাতে কালী পূজা করা হয়, কারণ দেবী কালী সমস্ত ভয় ও দুর্ভোগ নিবারণ করেন বলে বিশ্বাস। একইসঙ্গে দক্ষিণা কালী অন্ধকার, কষ্ট, এবং দুঃসময় থেকে মুক্তি দেন, যা শনির প্রভাবের সঙ্গে সংযুক্ত।
*শাস্ত্র অনুযায়ী, শনি এবং কালী উভয়েই কার্মিক দায়মুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যারা শনির প্রভাবে কষ্ট ভোগ করছেন, তারা কালী পূজা করলে শনির ক্রোধ প্রশমিত করতে পারবেন।
*প্রচলিত বিশ্বাস, দক্ষিণা কালী পূজা করে শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশেষত লোকবিশ্বাস, শনিবারে শনি মন্দিরে কালী পূজা করলে জীবনের বাধা ও দুঃখ দূর হয়।
