আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আগামিকাল ২৭ মে মঙ্গলবার শনি জয়ন্তী। সূর্যপুত্র শনিদেব জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই প্রতি বছর এই তিথিতে শনি জয়ন্তী পালিত হয়। এবছর একই দিনে পড়েছে শনি জয়ন্তী এবং তৃতীয় বড় মঙ্গল। যা হিন্দু ধর্ম মতে, অত্যন্ত বিরল ও শুভ। বড় মঙ্গল যা বুদ্ধ মঙ্গল নামে পরিচিত, এটি ভগবান হনুমানের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। স্বাভাবিকভাবেই এবার শনি জয়ন্তীর মাহাত্ম্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। 

শনি জয়ন্তীতে শনি দেবের পুজোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। হিন্দু ধর্ম মতে, শনির 'সাড়ে সাতি' এবং 'ঢাইয়া' থেকে কেউই রেহাই পেতে পারে না। শনিদেব সকলের কর্মফলের হিসেব করেন। ভাল কাজ করলে যেমন প্রসন্ন হন, তেমনই অসৎ কাজে রুষ্ট হয়ে ছারখার হতে পারে জীবন। এবছর ২৭ মে অত্যন্ত শক্তিশালী মহাজাগতিক সঙ্গতি হতে চলেছে। 

বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে, শনি দোষে ভুক্তভোগীদের শনির সবচেয়ে বড় ভক্ত হনুমানের আশীর্বাদ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে দুই দেবতার কাছে প্রার্থনা করলে অসুস্থতা, আর্থিক বোঝা, বাধা-বিপত্তি এবং নেতিবাচক গ্রহের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শনিদেবকে প্রসন্ন করতে কী কী করবেন- 

* শনি জয়ন্তীর দিন সকালে স্নান করে দিন শুরু করুন। এরপর হনুমানের পূজা করুন। 
* হনুমানকে সিঁদুর, জুঁই তেল, লাল ফুল এবং গুড় দিয়ে ভাজা ছোলা নিবেদন করুন। হনুমান চালিশা বা বজরং বাণ পাঠ করতে পারেন। 
* কালো তিল, সরষের তেল, নীল ফুল এবং কালো পোশাক নিবেদন করে শনিদেবের পূজা করুন। 
* শনিদেবের আশীর্বাদ পেতে স্তোত্র বা দশরথ-কৃত শনি স্তোত্র পাঠ করুন। 
* এদিন পিপল গাছে জল অর্পণ করুন এবং শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে সাতবার প্রদক্ষিণ করুন।
* শনি জয়ন্তীতে দান-ধ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। কথিত রয়েছে, এদিন কালো তিল, কালো উড়ালের ডাল, কালো কাপড়, লোহার সরঞ্জাম, স্টিলের বাসনপত্র বা কম্বলের মতো জিনিসপত্র দরিদ্রদের দান করলে শনিদেবের দীর্ঘস্থায়ী আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
* শনিজয়ন্তীতে সকাল ও সন্ধ্যায় ১০৮ বার "ওঁ শাঁ শনিচরায় নমঃ" জপ করুন। 
* কুকুর, কাক এবং গরুর মতো প্রাণীদের খাওয়ান এবং প্রতিবন্ধী বা অসুস্থদের খাবার দিন। এই ধরনের কাজ শনিদেবকে খুশি করে এবং জীবন থেকে অভাব দূর করে।