আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাস্তুশাস্ত্র ভারতের এক অতিপ্রাচীন পদ্ধতি। এই কলা অনুযায়ী ঘরের কোন দিকে কী রাখা শুভ তা নির্ণয় করা যায়। বিশ্বাসীরা মনে করেন বাস্তু মেনে ঘর সাজালে তা খুলে দিতে পাড়ে ভাগ্যের দরজা। এহেন বাস্তু শাস্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ শঙ্খ। ভারতীয় সংস্কৃতিতে শঙ্খ— নিছক সামুদ্রিক খোল নয়, এটি আধ্যাত্মিকতারও প্রতীক। প্রাচীনকাল থেকেই শঙ্খের বাজনাকে অশুভ শক্তি নির্মূলের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। আর বাস্তু শাস্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে শঙ্খের সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করা হলে ঘরে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সাফল্যের প্রবাহ অব্যাহত থাকে। তাই এটা জানা অত্যন্ত জরুরি যে বাস্তু অনুযায়ী ঘরের কোন কোন দিকে শঙ্খ রাখা উচিত?
পূর্ব দিক: ঘরের পূর্বদিকে শঙ্খ রাখা সবচেয়ে শুভ বলে ধরা হয়। কারণ, পূর্বেই সূর্যোদয় হয়। পূব দিকে শঙ্খর শব্দ জীবনে সাফল্যের আলো নিয়ে আসে বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে, ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে শঙ্খ স্থাপন করলে অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধি পায় এবং পারিবারিক বন্ধন মজবুত হয়। পূর্বদিকে শঙ্খ রাখলে নতুন শক্তি ও উদ্দীপনা আসে।
উত্তর দিক: উত্তর দিকে শঙ্খ রাখা আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতীক। বলে ধরা হয়। বাস্তু শাস্ত্রে উত্তর দিক অর্থ এবং কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত। এই দিকে শঙ্খ রাখলে ব্যবসায়িক ও আর্থিক ক্ষেত্রে লাভবান হওয়া যায়। বাড়ির উত্তর দেয়ালে শঙ্খের ছবি লাগালেও অর্থনৈতিক উন্নতির পথ সুগম হয়।
উত্তর-পূর্ব কোণ: উত্তর-পূর্ব কোণকে বাস্তু শাস্ত্রে সবচেয়ে শুভ ও পবিত্র স্থান মনে করা হয়। এই কোণায় শঙ্খ রাখলে গৃহস্থের মানসিক শান্তি এবং আত্মিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়। এই দিকে পুজোর ঘরে শঙ্খ রাখলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ ঘটে।
দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে সতর্কতা প্রয়োজন: দক্ষিণ-পূর্ব কোণ আগুনের স্থান। এই স্থানে শঙ্খ রাখালে অশান্তি ও দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা বাড়ে। দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ বাড়ির শক্তি ও স্থিতিশীলতার কেন্দ্র। তবে এই দিকে শঙ্খ রাখার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, অযথা শঙ্খ স্থাপনের ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
