আজকাল ওয়েব ডেস্ক: হাতে আর মাত্র দু’মাস। ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। পুজোর প্ল্যানিং শুরু করে ফেলেছেন নিশ্চয়ই? পছন্দের সেই পোশাক পরতে হবে, পুজোর ছবি চাই একদম পারফেক্ট। তাই তো বছরের এই সময়টাতে অনেক বাঙালি বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে চান। আর এই ওজন কমানোর জন্য ভাত না কি রুটি, কোনটি বেশি উপকারী তা নিয়ে বেশ ধন্দে ভোগেন অনেকে। 

ওজন কমানোর জন্য বেশিরভাগ মানুষই রুটিকে বেশি প্রাধান্য দেন। ভাত খেলেই ওজন বেড়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে অনেকের মনেই। এদিকে বাঙালির যে ভাত ছাড়া চলে না। তবে উপায়? এবিষয়ে পুষ্টিবিদদের কী মত? জেনে নেওয়া যাক।
 
ভাত, রুটির মধ্যে বহু যুগ ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতের তুলনায় রুটিতে বেশি খনিজ রয়েছে। যদিও রুটি ও ভাত দুই কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর। রুটিতে বেশ ভালো মাত্রায় ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে। ফলে পেট ভরা রাখে অনেক্ষণ। এছাড়া রুটিতে সোডিয়াম রয়েছে, যা শরীরের জন্যও খুব উপকারি।

অন্যদিকে, রুটির থেকে কম ফাইবার থাকে ভাতে। তাই সহজে এটি হজম করা যায়। সেই কারণেই বদহজমের সমস্যায় ভুগলে ডায়েটে ভাত রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। একইসঙ্গে ভাতে থাকে সরল শর্করা। সোডিয়াম ছাড়াও রুটিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম। যা ভাতে থাকে না। 

ওজন কমানোর ডায়েটে ভাত রাখতে পারেন। তবে সাদা ভাত অর্থাৎ হোয়াইট রাইস খেলে কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বরং সেক্ষেত্রে ব্রাউন রাইস খেতে পারেন। এতে বেশি উপকার পাবেন। রুটিতে তাও গ্লুটেন থাকে। কিন্তু ব্রাউন রাইস একেবারে গ্লুটেন মুক্ত। ডায়েবেটিসে ভুগলেও ভাতের চেয়ে রুটি খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়।

ওজন কমাতে ভাত এবং রুটি দুটিরই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কোনও একটি খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে বরং মুশকিল। কারণ পরে সেই খাবারটি আর হজম নাও হতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে ভাত কিংবা রুটি যে কোনও একটি খেলেই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।