বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঁদের পাহাড়-এর হাত ধরে আফ্রিকার ছবি ফুটে উঠেছিল বাঙালির মনে। শঙ্করের দুঃসাহসিক অভিযান মুগ্ধ করেছিল ডাঃ কাজরী মুখোপাধ্যায় ও ডাঃ কল্যাণ কর-কেও। অঘোঘ টানে তাঁরা ছুটে গিয়েছেন সেই মহাদেশে। গভীর আকর্ষণ থেকেই বেশ কয়েক মাস আগে কলকাতায় আত্মপ্রকাশ করেছে 'ফ্লেভারস অফ আফ্রিকা’। আফ্রিকান থিমের এই রেস্তোরাঁতে এবার পেয়ে যাবেন সুদূর ঘানার খ্যাতনামা শেফ রোসির অনন্য স্বাদের বিভিন্ন পদ চেখে দেখার সুযোগ।
খাবার নিঃসন্দেহে বিভিন্ন সংস্কৃতিকে মেলানোর অন্যতম সহজ মাধ্যম। সেই ভাবনা থেকেই দক্ষিণ কলকাতার মুকুন্দরের 'ফ্লেভারস অফ আফ্রিকা’তে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ আফ্রিকান ‘পপ-আপ ফুড ফেস্টিভ্যাল’-এর। সেখানেই পশ্চিম আফ্রিকার প্রাণবন্ত স্বাদ, মশলাদার স্টু এবং বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার কলকাতার খাদ্যপ্রেমীদের সামনে নতুন রূপে হাজির করেছেন শেফ রোসি। কেবল একটি খাবারের আয়োজন নয়, সাংস্কৃতিক মিলনের এই উদযাপন কলকাতার উৎসবমুখর পরিবেশে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।

শেফ রোসির ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতামিশ্রিত পদের বিশেষ মেনুতে রয়েছে আফ্রিকার বিভিন্ন জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার। স্যালাডের সঙ্গে জলফ রাইস চিকেন সস ও ফ্রাইড রাইস চিকেন সস । দুটি পদের দামই ৪০০ টাকা। প্লানটেইনের সঙ্গে ফিশ সস (দাম ৩৫০ টাকা, গোট মিট স্টু-র সঙ্গে প্লেইন রাইস মেষের মাংসের স্টুর সঙ্গে (দাম ৪৫০ টাকা), ক্রাঞ্চি নাইজেরিয়ান চিন-চিন (১০০টাকা)।

গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই আয়োজন। যা চলবে প্রতি শনিবার ও রবিবার দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। অর্থাৎ চাইনিজ, মোঘলাই কিংবা কন্টিনেন্টালের থেকে খানিকটা স্বাদ বদল করতে পুজোর মরশুমে ঢুঁ মারতেই পারেন কলকাতার আফ্রিকান রেস্তোরাঁয়।

এপ্রসঙ্গে ডঃ কেল্যান কর এবং ডঃ কজারি মুখার্জী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য সবসময়ই ছিল কলকাতাকে এমন রান্না এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো যা শহরে নতুন। শেফ রোসির পপ-আপ কেবল একটি ফুড ফেস্টিভ্যাল নয়, আফ্রিকা ও ভারতের মধ্যে একটি সেতু, যা স্বাদের মাধ্যমে বৈচিত্র্য উদযাপনের সুযোগ এনেছে। খাবারের যে কোনও সীমা নেই তা প্রমাণ করেছে এই উদ্যোগ।
