আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ইঁদুর দৌড়ের জীবনে সকাল হতে না হতেই বেরিয়ে পড়া। গতে বাঁধা জীবনে মুক্ত বাতাস বলতে সপ্তাহে এক-দু’দিন ছুটি। তাও কখন যে ফুরুৎ করে চলে যায় বোঝার উপায় নেই। কারওর আবার ছুটির দিনেও থাকে কাজের চাপ। ফলে দিনকেদিন অল্পবয়স থেকেই সঙ্গী হয়ে উঠছে অবসাদ, মানসিক ক্লান্তি। যা কাটিয়ে উঠতে অনেকেই অনেক ধরনের প্রয়াস নেন বটে! তবে জানলে অবাক হবেন মানসিক স্বাস্থ্যের দাওয়াই হতে পারে বিড়াল। হ্যাঁ, ছোট্ট ছটফটে বিড়ালছানা যখন পায়ে পায়ে ঘুরবে কিংবা লাফিয়ে উঠে বসবে কোলে, তখন নিমেষে কেটে যাবে মনের সব উদ্বেগ। মানসিক ক্লান্তি, মনের চাপ সবই দূর করতে পারে মার্জার, সাম্প্রতিক গবেষণায় এমনই তথ্য সামনে এসেছে। 

আসলে পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটালে শরীরে অক্সিটোসিন নামক হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়, যা মানসিক চাপ কমায় এবং মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিড়ালের সঙ্গে বন্ধুত্ব হলে যে কোনও কাজে বেশি উদ্যমী ও মনোযোগী হয়ে ওঠা যায়। সহজে দুঃখ, একাকীত্ব গ্রাস করতে পারে না।বিড়ালের যাবতীয় মজার কাণ্ড এবং ঘুমের ভঙ্গিমা মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে, সচরাচর মনে নেতিবাচক চিন্তা আসে না। গবেষণায় উঠে এসেছে, বাড়িতে পোষ্য বিড়াল থাকলে সেই বাড়ির সদস্যরা নিজেদেরকে সুখী, আত্মবিশ্বাসী এবং কম উদ্বিগ্ন বলে মনে করেন। তাঁদের ঘুম, মনোযোগ এবং জীবনের সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করার ক্ষমতাও বাড়ে। 

শুধু মন নয়, শরীর-স্বাস্থ্যের উপর বিড়ালের বড় প্রভাব রয়েছে। বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটালে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। গবেষকদের দাবি, বিড়াল পুষলে মানসিক চাপ তেমন থাকে না। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। যারা বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটান তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম হয়।

বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটালে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক দক্ষতা উন্নত হতে পারে। বিড়াল যেমন খেলার সঙ্গী হয়, তেমনই শিশুর মন খারাপ থাকলে পোষ্য আরও বেশি কাছাকাছি থেকে সঙ্গ দেয়।