আজকাল ওয়েব ডেস্ক: হেঁশেলে চারটি পদের মধ্যে তিনটে পদ সাধারণত আলু দিয়ে হয়।সব সবজি না থাকলেও চলবে, আলুর ভাঁড়ারে টান পড়লেই মাথায় হাত পড়ে যায়। খোসা ছাড়িয়ে আলুকে কেটে নিলেই হল। আলুর দম, আলু পোস্ত, মাছের ঝোল থেকে কষা মাংস, এমনকি বিরিয়ানি ও আলু সেদ্ধ মাখা। তালিকায় রয়েছে নানা ধরনের সব হিট পদ। খোসা ছাড়িয়ে কুচিয়ে নিলেই রান্না হয়ে যায় নিমেষেই।কিন্তু খাবার আগে সবজিটিকে সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করছেন তো? আলুর খোসা আপনার ডাস্টবিনে জায়গা পাচ্ছে তার গুণাগুণ প্রচুর। আসল উপকার তো লুকিয়ে খোসাতেই। জানেন কী? পুষ্টিবিদদের মতে আলুর চেয়েও বেশি উপকারি আলুর খোসা। অন্য সব্জির চেয়ে এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।
১) প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় আলুর খোসা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। ফলে আঘাত লাগলেও হাড় সহজেই ভেঙে যায় না।
২) ডায়াবিটিসে আলুকে এড়িয়ে চলেন অনেকেই। খোসা কিন্তু খেতেই পারেন। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। আলুর খোসায় থাকা ফাইবার সেই খিদেকে কমিয়ে দেয় আর পেট ভরে রাখে অনেকক্ষণ।
৩) হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে আলুর খোসা। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং এমনকী নানা প্রকার হৃদরোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয় এই খোসা খেলে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকায় এটি হার্টের যত্ন করে।
৪) ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে আলুর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আলুর খোসাও ত্বকের কালো দাগ-ছোপকে কমিয়ে দেয় ,ত্বকের জ্বালাপোড়া , চুলকানি এমনকী গরম তেল পড়ে ফোসকা পড়লেও সেটি কমানোর জন্য আদর্শ। ত্বককে ভাল রাখতে সহায়ক এই সবজির খোসা।
৫) আলুর খোসায় রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সিদ্ধহস্ত।
ডায়াবিটিস, ইউরিক অ্যাসিডের মতো রোগ থাকলে অনেকেই আলু এড়িয়ে চলেন। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, রোজের পাতে আলু রাখতে চান না তাঁরাও। সেক্ষেত্রে আলু সব সময় ক্ষতিকর হয় না। তারা আলু বা আলুর খোসা ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাই আলুর খোসা ছাড়িয়ে দুম করে ফেলে দেবেন না। খোসা সমেত আলু রান্না করার আগে অবশ্যই খুব ভাল করে ধুয়ে নেবেন। খোসায় থাকা বালি বা ময়লা পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
